ছবি: বিজনেস আই
কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিমল চাকমার বিরুদ্ধে একজন সিএনজি চালককে ধরে নিয়ে গিয়ে একটি তালাবদ্ধ রুমে আটকে রাখার অভিযোগ ওঠছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউএনওর বিরুদ্ধে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সিএনজি চালক।
জানা গেছে, গত২৮ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে এগোরাটার সময় ঈদগাঁও বাস স্টেশনে সিএনজি চালক মোস্তাক মিয়া যাত্রী নামিয়ে দেয়ার জন্য গাড়ি চাইট করছিলেন পেছনে দেখেন ইউএনও র গাড়ি সাইট দিতে দেরি হওয়ায় তখন ইউএনও নিজে গাড়ি থেকে নেমে থাপ্পড় দিয়ে গাড়ির ছাবি নিয়ে ফেলেন এবং তাকে পুলিশের গাড়িতে তুলে ইউএনও অফিসে নিয়ে গিয়ে একটি তালাবদ্ধ রুমে আটকে রাখেন সারাদিন তাকে উপোস রাখেন। রাত দশটার দিকে তাকে ছেড়ে দেন। পরে দুই দিন পর সিএনজি টি ছেড়ে দেন। শ্রমিক নেতাদের অভিযোগ ইউএনও যোগদান করার পর থেকে বিভিন্নভাবে মানুষকে হেনস্তাসহ মানসিক টর্চার করার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। বিমল চাকমা কক্সবাজার এলএ শাখায় চাকরি করার সময়ে একজনের টাকা আরেকজনকে দেয়ারও অভিযোগ আছে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসনে চাকরির সময়ে আওয়ামী দোসরদের সাথে দহরম মহরম ছিল মর্মে জানা গেছে।
কক্সবাজার আদালতের সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট সাজ্জাদ সাংবাদিকদের জানান, এটা মূলত ক্ষমতার অপব্যবহার এরকম ক্ষমতার অপব্যবহার করা আইনের কোথাও লেখা নেই এটা যথাযত শাস্তির যোগ্য অপরাধ। পানির ছড়া সিএনজি চালক সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান জানিয়েছেন এটা শ্রমিক নির্যাতন এটার যথাযত বিচার না হলে আমরা শীগ্রই মাঠে নামবো।
অভিযুক্ত ইউএনও বিমল চাকমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এরকম আজাইরা বিষয় নিয়ে কথা বলতে পারবো না। আপনার বক্তব্য নিতে হলে অফিসে এসে কথা বলেন বলে মোবাইলের লাইন কেটে দেন।
অন্যদিকে অভিযোগ এর বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দীনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইউ