
ছবি সংগৃহীত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বুধবার থেকে চীনা পণ্যের উপর ১০৪ শতাংশ শুল্ক চালু করার ঘোষণা দিয়েছেন। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এ শুল্ক ব্যবস্থা চীনের বিরুদ্ধে মার্কিন বাণিজ্য নীতি পর্যালোচনার অংশ হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্প চীনা পণ্যের উপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন, পরে মার্চে তা আরও ১০ শতাংশ বাড়ানো হয়। এরপর চীনের পণ্যগুলোর উপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়, যা এখন আরও ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে মোট ১০৪ শতাংশ শুল্কে উন্নীত করা হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চীনের সব পণ্যের উপর বুধবার থেকে ১০৪ শতাংশ শুল্ক চালু করবেন।’ তিনি আরো বলেন, ‘ট্রাম্পের মেরুদণ্ড ইস্পাতের মতো শক্ত। চীন একতরফা ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও, ট্রাম্প তার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন।’
চীন এই শুল্ক আরোপের প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভুল পদক্ষেপ নিচ্ছেন এবং তারা পাল্টা ব্যবস্থা নেবে। চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা মার্কিন পণ্যের উপর শুল্ক বাড়াতে পারে এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।
বিশ্বজুড়ে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে অর্থনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। মার্কিন শেয়ার বাজারে পতন হয়েছে এবং বিশ্বের অন্যান্য বাজারেও তার প্রভাব পড়েছে। এর পাশাপাশি, অশোধিত তেলের দামও কমেছে এবং বিভিন্ন অর্থনৈতিক সংস্থা মন্দার আশঙ্কা প্রকাশ করছে।
এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন মার্কিন পণ্যের উপর ২০ শতাংশ শুল্ক বসানোর পরিকল্পনা করছে, এবং কিছু দেশ যেমন ভিয়েতনাম, ইসরায়েল ও ভারত মার্কিন পণ্যের উপর শুল্ক কমানোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।বিশ্ববাজারে তীব্র প্রতিক্রিয়া সত্ত্বেও, চীন জানিয়েছে তারা সমস্যা চায় না, তবে তাদের স্বার্থ রক্ষায় যে কোনো ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত।
ইউ