ফাইল ছবি
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচনে সভাপতি পদে নির্বাচনের জন্য চারটি এবং সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে জন্য তিন প্রার্থী মনোনয়নপত্র কিনেছেন। সব মিলিয়ে ৬২ মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে। সভাপতি ও সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে নির্বাচন নিয়েই আগ্রহ ছিল বেশি।
সেখানে দ্বিতীয় দিন সভাপতি পদে মনোনয়ন কেনেন তাবিথ আওয়াল এবং মিজানুর রহমান। শনিবার শেষ দিনে এই পদে আরো দুটি মনোনয়ন কেনা হয়েছে। ময়মনসিংহ বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদোয়ান এবং এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ক্লাবের কাউন্সিলর শাহাদত হোসেন।
লম্বা সময় পর কাজী সালাউদ্দিন সভাপতি পদ থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণার পর সবার আগে সভাপতি পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছিলেন ব্যবসায়ী তরফদার রুহুল আমিন। এর আগের বাফুফে নির্বাচনে সভাপতি হওয়ার ঘোষণা দেন তিনি। গতবারের মতো এবারও সভাপতি পদে আর নির্বাচন করছেন না।
চমক দিয়ে তরফদার রুহুল আমিন সিনিয়র সহ-সভাপতির মনোনয়নপত্র তুলেছেন। যেখানে তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আছেন বসুন্ধরা কিংসের ইমরুল হাসান ও নারায়ণগঞ্জের তৃণমূলের সংগঠক মনির হোসেন। শেষ পযর্ন্ত নির্বাচনে থাকলে এই পদেই হাড্ডহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস মিলছে।
১৪ ও ১৫ অক্টোবর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময়। ১৯-২০ অক্টোবর প্রত্যাহারের পরই মূলত বাফুফে নির্বাচনের প্রার্থীতার চূড়ান্ত আকার পরিষ্কার হবে। ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে বাফুফে নির্বাচন। এরই মধ্যে এক দফা নির্বাচন পিছিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন পেছানোর জন্য ফিফার কাছে আবেদন করলেও তা নাকচ করে দিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ফলে নির্ধারিত সময়েই হবে নির্বাচন।
১৩৩ জন কাউন্সিলর ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। এদিকে চার সহ-সভাপতি এবং ১৫ কার্যনির্বাহী পদে লড়াইয়ের তেজ পাওয়া যাচ্ছে। যেখানে সহ-সভাপতি পদে ১২টি এবং কার্যনির্বাহী পদে ৪৩টি মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে। কয়েকজন আবার একাধিক পদে ফরম নিয়েছেন। সাবেক জাতীয় তারকা ফুটবলাররাও মনোনয়নপত্র কিনেছেন।
গত নির্বাচনে সভাপতি পদের জন্য লড়াই করা শফিকুল ইসলাম মানিক এবার সহ-সভাপতি পদে নির্বাচন করবেন। একই পদে নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র কিনেছেন সৈয়দ রুম্মন বিন ওয়ালী সাব্বির। এছাড়া ছাইদ হাসান কানন, ইকবাল হোসেন ও সত্যজিৎ দাস রুপু মনোনয়ন নিয়েছেন।
ইউ