
ছবি সংগৃহীত
মিয়ানমারের থাইল্যান্ড সীমান্তের কাছাকাছি মায়াওয়াডি-মেসোট অঞ্চলের বন্দি শিবিরে আটকে থাকা ১৮ বাংলাদেশি মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরে এসেছেন। তারা দুবাই থেকে থাইল্যান্ড যাওয়ার পথে মানবপাচারকারীদের হাতে আটকা পড়েন এবং মিয়ানমারের ওই শিবিরে আটক ছিলেন।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান মুক্তি পাওয়া বাংলাদেশিরা। তারা হলেন- ওমর ফারুক, রাশেদুল ইসলাম রিফাত, আলিফ ইমরান, মোহাম্মদ রায়হান সুবহান, এস কে আরমান, পাভেল চৌধুরী, মনির হোসেন, ইসমাইল হোসেন, নাজিম উদ্দিন, জহির উদ্দিন, তানভীর আহাম্মেদ রাফি, তাইনুর খলিলুল্লাহ, সায়মন হোসেন আবির, উজ্জ্বল হোসেন, মেহেদী হাসান শান্ত, মোহাম্মদ কায়সার হোসেন, শাহ আলম ও আকাশ আলী।
ব্র্যাকের মাইগ্রেশন ওয়েলফেয়ার সেন্টারের ব্যবস্থাপক আল-আমিন নয়ন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে বাংলাদেশ দূতাবাস এই নাগরিকদের মুক্তি নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, মিয়ানমারের বন্দি শিবির থেকে পালিয়ে এক বাংলাদেশি ইয়াঙ্গুনে আশ্রয় নেন, যার ফলে বিষয়টি বাংলাদেশ দূতাবাসের নজরে আসে। এরপর প্রায় এক মাসের চেষ্টা শেষে ওই বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। পরে অন্য আটকদের উদ্ধারের জন্য বাংলাদেশ দূতাবাস মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ করে।
মিয়ানমার সরকার বাংলাদেশের নাগরিকদের উদ্ধারে সহযোগিতার আশ্বাস দিলেও, তাদের মুক্তি নিশ্চিত করতে থাইল্যান্ড সরকারের সম্মতি প্রয়োজন ছিল। থাইল্যান্ডের সহযোগিতায় মঙ্গলবার ১৮ বাংলাদেশিকে মিয়ানমারের বন্দি শিবির থেকে উদ্ধার করে ব্যাংকক পাঠানো হয়।
সংশ্লিষ্ট কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী বন্দি শিবিরগুলো থেকে চীনের প্রায় ৬ হাজার, ইন্দোনেশিয়ার ৪০০ এবং ভারতের ২৮৫ নাগরিক উদ্ধার হয়ে নিজ নিজ দেশে ফিরে গেছেন।
এদিকে, বর্তমানে ভিয়েতনাম ও হংকংয়ে চাকরির প্রলোভনে অনেক বাংলাদেশি প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। কূটনৈতিকরা নৌপথে মিয়ানমার, থাইল্যান্ড বা ইন্দোনেশিয়া হয়ে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার প্রস্তাব পেলে যাচাইপূর্বক গমনের পরামর্শ দিয়েছেন।
ইউ