বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত মাহমুদুল হাসান মুন্না হত্যা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড শেষে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রিমান্ড শেষে তাকে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-৩ আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোস্তাফিজুর রহমান।
এই সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাহেদ কামাল ইবনে খতিব জামিনের জন্য আবেদন করেন। জামিনের বিরোধিতা করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-৩ আদালতের বিচারক দেবী রানী রায় নুরুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ৩১ জানুয়ারি সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেকে আদালতে হাজির করে ১৫ দিনের রিমান্ড চাওয়া হলে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজার রহমান বলেন, পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আসামি নুরুজ্জামানকে আদালতে নেওয়া হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তাকেকে কারাগারে পাঠানের আদেন দেন।
এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি রাতে রংপুর মহানগরীর সেন্ট্রাল রোড পোস্ট অফিস সংলগ্ন এলাকা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নুরুজ্জামান আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি লালমনিরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হলে তিনি গা ঢাকা দেন। তার বিরুদ্ধে রংপুর ছাড়াও লালমনিরহাট জেলায় আটটি মামলা হয়েছে।
জানা যায়, রংপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে মাহমুদুল হাসান মুন্না নিহতের ঘটনায় সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ ও তার ছেলেসহ ১২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গত বছরের ২৯ আগস্ট রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোতোয়ালি আমলি আদালতে মামলাটি করেন মুন্নার বাবা আব্দুল মজিদ।
এই মামলায় গত ২৮ জানুয়ারি রাতে নগরীর স্টেশন বাবুপাড়ায় অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা আল-আমিন হোসেনকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরও আগে একই মামলায় গত বছরের ২৭ অক্টোবর নুরুজ্জামান আহমেদের ছোট ভাই শামসুজ্জামান আহমেদ ভুট্টুকে কালীগঞ্জ বাজার থেকে গ্রেপ্তার করে লালমনিরহাট জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
টিএইচ