ছবি সংগৃহীত
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে ৫ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) থেকে ভিসা ও কনস্যুলার সেবা পুনরায় চালু হবে।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) মিশনের প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান মো. আল আমীন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গত ২ ডিসেম্বর বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ তুলে একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সমর্থকরা হাইকমিশনে হামলা করে ভাঙচুর ও জাতীয় পতাকা নামিয়ে ছিঁড়ে ফেলে।
এরপর নিরাপত্তাহীনতাজনিত অবস্থার পরিপ্রেক্ষাপটে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সহকারী হাইকমিশনের সব ধরনের ভিসা ও কনস্যুলার সেবা কার্যক্রম বন্ধ করেছিল বাংলাদেশ।
এ ঘটনাকে ‘দুঃখজনক’ বলে বর্ণনা করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলে, ‘বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে ভাঙচুরের ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘কূটনৈতিক ও কনস্যুলার সম্পত্তিকে কোনো অবস্থাতেই হামলার লক্ষ্যবস্তু করা উচিত নয়। নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশের ডেপুটি ও সহকারী হাইকমিশনের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করার জন্য সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে।’
ওই হামলার প্রতিবাদে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তলবও করে। আগরতলার ঘটনায় বাংলাদেশ তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে তার হাতে একটি প্রতিবাদপত্রও তুলে দেয়।
হামলার ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করে ত্রিপুরা রাজ্য পুলিশ। বদলি করা হয় জ্যেষ্ঠ এক পুলিশ কর্মকর্তাকে। ভাঙচুরের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় কয়েকজনকে।
সহকারী হাইকমিশনে হামলা হওয়ার পর ঢাকায় ফিরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেছিলেন সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ। এক মাস পর ৭ জানুয়ারি তিনি নিজ কর্মস্থলে ফিরে যান।
ইউ