ফাইল ছবি
রাজধানীতে হাত-পা বেঁধে পাঁচ জন মিলে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া এক কিশোরীকে। পরে মহাখালীর থেকে রিকশায় লাশ বহন করে লাশ ফেলা হয় হাতিরঝিলে। এ ঘটনায় জড়িত রবিন ও রাব্বি মৃধা নামের দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, কিশোরীকে ফাঁদে ফেলে ১৬ জানুয়ারি দুপুরে মহাখালীর বাসায় নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। এরপর হাত-পা বেঁধে, মুখে কাপড় গুঁজে ওই পাঁচ জন মিলে ধর্ষণ করলে মেয়েটি দমবন্ধ হয়ে মারা যায়।
আসামিরা পরে মরদেহ বস্তায় ভরে মধ্যরাতে রিকশায় করে এনে ফেলে দেন হাতিরঝিলে। তাদের দেয়া তথ্যে হাতিরঝিল থেকে কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
অন্যদিকে ঘটনার দিন মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে ১৯ জানুয়ারি একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন তার বাবা। ২৭ তারিখের ওই ডায়েরির সূত্র ধরে তদন্তে নামে পুলিশ। কিশোরীটির মুঠোফোন নম্বরের সূত্র ধরে ৩০ জানুয়ারি রবিন ও রাব্বি মৃধাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা পাঁচ জন মিলে ওই কিশোরীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে।
দ্রুতই এ ঘটনায় বাকি তিন অভিযুক্তকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন উত্তরার ডিসি রওনক জাহান।
ইউ