কক্সবাজারে  সুগন্ধা পয়েন্টে এস আলমের প্লটে ভবন নির্মাণের হিড়িক 

কক্সবাজারের সুগন্ধা পয়েন্টে পানির ট্যাংক এর পূর্ব পাশে এস আলমের নামে বাতিলকৃত বাতিল প্লটে রাতারাতি একটি ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। সৈকত এলাকায় প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় (ইসিএ)এলাকায় নির্মিত এই স্থাপনা নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। 

সরেজমিনে গুরে  দেখা যায়, সুগন্ধা পয়েন্টের রাস্তার উত্তর পাশে পানির ট্যাংক এর পূর্ব পাশে এস আলমের নামে বাতিলকৃত প্লটে স্থাপনা করা হচ্ছে। ভবনটি খুব অল্প সময়ে দ্রুত গতিতে দিনরাত কাজ করে নির্মাণ করা হচ্ছে।রাতারাতি ভবন নির্মাণের বিষয়টি নিয়ে কর্মরতদের কাছ থেকে স্থাপনা কারা করছে জিজ্ঞাসা করা হলে তারা বলেন, সেটি তারা জানেন না বলে সাংবাদিকদের জানান । 

স্থানীয় দোকানদাররা জানান, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী দোসররা পালিয়ে যাওয়ার পর কক্সবাজার শহরের সুগন্ধা পয়েন্টের বেলাভূমিতে গড়ে তোলা হয়েছে আনুমানিক  ২০টি দোকান। এই পয়েন্টের সড়ক, ফুটপাত ও বালিয়াড়িতে ও বসানো হয়েছে ২০০ জন ভ্রাম্যমাণ হকার। এর দক্ষিণ পাশে কলাতলী পয়েন্টের ‘সি ক্রাউন হোটেলের’ সামনে তৈরি করা হয়েছে পাঁচটি দোকান। মেরিন ড্রাইভের ইনানী সৈকতের বেলাভূমিতে অন্তত ৩০টি রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন দোকানপাট নির্মাণ করা হয়েছে। এবং সবশেষে এই স্থাপনা করা হচ্ছে খুব অল্প সময়ে। 

কক্সবাজারের সৈকত এলাকায় প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) ঘোষণা করে ১৯৯৯ সালের ১৯ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে। এই গেজেট অনুযায়ী সৈকতের বেলাভূমিতে স্থাপনা নিষিদ্ধ। কিন্তু আইন না মেনে দীর্ঘদিন ধরে স্থাপনা নির্মাণ অব্যাহত থাকায় ২০১৭ সালে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে সৈকতের জোয়ার-ভাটার মধ্যবর্তী লাইন থেকে প্রথম ৩০০ মিটার ‘নো ডেভেলপমেন্ট জোন’ উল্লেখ করে এ এলাকায় কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না বলে নির্দেশনা দেয় উচ্চ আদালত।

সম্প্রতি হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়নের জন্য বেলার পক্ষে নোটিশ দেয়া হলে একদিনের মধ্যে স্বেচ্ছায় অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেয় জেলা প্রশাসন। সরিয়ে দেয়া হলেও কয়েকদিন পর আবারও স্থাপনা শুরু হয় সৈকতে। কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃপক্ষের অথরাইজ অফিসার রিশাতুন্নবী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন এরকম বেআইনি কেউ ভবন নির্মাণ করলে কউক যথাযথ আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।