ফাইল ছবি
দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক পিয়ন ও ব্যক্তিগত স্টাফ মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং তার স্ত্রী কামরুন নাহারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি জ্ঞাত আয়বহির্ভূতভাবে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন।
গত ৩০ জানুয়ারি, ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের পক্ষে উপ-পরিচালক মো. রাশেদুল ইসলাম নিষেধাজ্ঞা প্রার্থনা করে আদালতে আবেদন করেন।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, জাহাঙ্গীর আলম ঢাকায় তার নামে ১৮ কোটি ২৯ লাখ ১০ হাজার ৮৮২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেন। এছাড়াও, তিনি ৮টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ২৩টি হিসাবের মাধ্যমে ৬২৬ কোটি ৬৫ লাখ ১৮ হাজার ১০৭ টাকা স্থানান্তর করেছেন।
এদিকে, ১৭ ডিসেম্বর দুদক জাহাঙ্গীর আলম এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ৭ জুলাই শেখ হাসিনা এক সংবাদ সম্মেলনে এই পিয়নের দুর্নীতি প্রসঙ্গে বলেন, "আমার বাসায় কাজ করে গেছে পিয়ন, সে এখন ৪০০ কোটি টাকার মালিক। হেলিকপ্টার ছাড়া চলে না।" তিনি আরো বলেন, "এটা বাস্তব কথা, কী করে বানাল এই টাকা? যখন আমি জেনেছি, তাকে বাদ দিয়ে কার্ড সিজ করে ব্যবস্থা নিয়েছি।" তখন তার নাম প্রকাশ না হলেও পরে গণমাধ্যমে জাহাঙ্গীর আলমের নাম সামনে আসে।
সংবাদ সম্মেলনের পর বাংলাদেশ ব্যাংক জাহাঙ্গীরের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করে এবং লেনদেনের যাবতীয় তথ্য চেয়ে নির্দেশনা দেয়।
এখনো পর্যন্ত, জাহাঙ্গীর এবং তার স্ত্রীর বিদেশে যাওয়ার বিষয়ে আদালতের অনুমতি নেয়া প্রয়োজন বলে জানা গেছে।
ইউ