ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ছেলে অনিল পালের দেনার দায়ে আত্মহত্যা করেছেন মা দিপালী রানী পাল (৫৫)। গতকাল সোমবার ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের মুনসুরাবাদ পালপাড়া গ্রামে এমন ঘটনা ঘটেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দিপালী রানী পালপাড়ার নিরঞ্জন পালের স্ত্রী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। ভাঙ্গা বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী ছেলে অনিল পাল আইপিএল (জুয়া) খেলে ২৭ লাখ টাকা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ে। পাওনাদারদের চাপে অনিল ব্যবসা বন্ধ করে বাড়ি চলে আসে। তবে পাওনাদাররা বাড়িতে গিয়ে টাকা আদায়ের জন্য নানাভাবে চাপ দিয়ে আসছিলেন। এ অবস্থায় মা দিপালী সহ্য করতে না পেরে সোমবার সকালে ইঁদুর মারা বিষ পান করেন। এরপর অসুস্থ হয়ে পড়লে বাড়ির লোকজন দিপালীকে প্রথমে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে দিপালী রানীর মৃত্যু হয়।
হামিরদী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও মুনসুরাবাদ গ্রামের বাসিন্দা মো. আলমগীর মোল্লা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ছেলে আইপিএল খেলে অনেক টাকা দেনা হয়ে পড়ে। বাড়িতে পাওনাদাররা টাকার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। তাছাড়া দিপালী রানী কিছুটা অসুস্থ ছিলেন। সবমিলিয়ে মনের দুঃখে বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
এই বিষয়ে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোকছেদুর রহমান জানান, ইঁদুর মারা বিষ খেয়ে দিপালী রানী পাল নামের এক নারী আত্মহত্যা করেছে। তার মরদেহ বর্তমানে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। আজ ওই গ্রামে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা চলমান রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
টিএইচ