ঢাকা,

১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪


অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া প্রসঙ্গ

মিলি সুলতানা

প্রকাশিত হয়েছে: ১৭:০৫, ৩১ আগস্ট ২০২৪

আপডেট: ১৭:০৬, ৩১ আগস্ট ২০২৪

অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া প্রসঙ্গ

ফাইল ছবি

জুলাইয়ে দেশ যখন উত্তাল, শত শত ছাত্র খুন হয়েছে নির্বিচারে। নারকীয় এই হত্যাযজ্ঞের মাসুল দিতে হয়েছে শেখ হাসিনাকে। অবস্থা বেগতিক বুঝে অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়াও পালিয়েছেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের নামে নুসরাত ফারিয়া কানাডা গিয়েছেন। ইতিমধ্যে তিনি পলিটিকাল এসালাইলামও পেয়ে গেছেন। জায়েদ খানও নিউইয়র্ক আর কানাডা দৌড়াদৌড়ি করছেন। সবাই এখন "চাচা আপনা প্রাণ বাঁচা" ফর্মুলা ফলো করছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী সিনেজগতের লোকজনের সাথে কানেক্ট থাকতে পছন্দ করতেন। তার প্রমাণ পাওয়া যায় প্রায় প্রত্যেক নায়িকা অভিনেত্রী গায়িকা মডেল নায়ক গায়কদের সাথে উনার ফটোসেশন। পিএমের সাথে তোলা ছবি ফেসবুক প্রোফাইলে টাঙ্গিয়ে এসব সেলিব্রেটিরা শো অফ করে বেড়াতো। এরশাদের শাসনামলে একবার চলচ্চিত্র তারকাদের অংশগ্রহণে মীনাবাজারের আয়োজন করা হয়েছিল। 

শাবানা ববিতা চম্পা সুচন্দা নূতন রোজিনা সুচরিতা অঞ্জনা কাজরীরা মীনাবাজারের স্টলে বসেছিলেন। তখন মিনাবাজার উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন ফার্স্টলেডি বেগম রওশন এরশাদ। রওশাদ এরশাদ প্রচুর ঠাঁটবাট নিয়ে চলতেন। ফার্স্টলেডি মানে একদম ফার্স্টলেডির মতই ছিল তার চলাফেরা। ববিতা শাবানা সুচন্দা চম্পা রোজিনা নূতনরা রওশন এরশাদকে পাঁচমিনিটের জন্য তাদের স্টলে পাওয়ার জন্য সে কি উচ্চাশা ছিল তাদের মনে। রওশন এরশাদ অবশ্য তাদের কাউকে বিমুখ করেননি। সবার সঙ্গে ছবি তুলেছেন তাদের স্টলে গিয়ে গিয়ে। সেসব ছবি ভিউকার্ড আকারে বাজারে বের হত। আমি দৌড়ে গিয়ে ভিউকার্ড কিনতাম।একটা ভিউকার্ডের দাম ছিল একটাকা। তখন মানুষের কাছে ভিউকার্ডের আবেদন ছিল অন্যরকমের। কিন্তু আজকের মিলিনিয়াম যুগে ব্যাপারটা হয়ে গেছে একঘেঁয়ে আর অনাকর্ষণীয়। সাবেক পিএমের সাথে যে যত ঘনিষ্ঠ পোজেই ছবি তোলেন এতে কোনো আকর্ষণ নেই। এক্স পিএম কারো গালে হাত দিয়ে আদর করছেন। কারো মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। 

আমাদের একঘেঁয়ে সেলিব্রেটিরা হাসিনার সাথে শো অফ মার্কা ছবি দিয়ে ক্যারিয়ারের জন্য দুর্দিন ডেকে এনেছেন। মানুষ এসব ছবি একবার দেখলে দ্বিতীয়বার আর ঘাড় ফিরিয়ে তাকায় না। খুব অল্প সময়ের মধ্যে শেখ হাসিনার গণভবনে এন্ট্রি নেয়ার মধ্যে আছেন ফেরদৌস, চঞ্চল চৌধুরী, তারিন জাহান, রিয়াজ, দোয়েলের মেয়ে দীঘি, অপু বিশ্বাস, আরেফিন শুভ, নিপুণ আক্তার, নুসরাত ফারিয়ারা। তবে নুসরাত ফারিয়ার মধ্যে হয়তোবা অলৌকিক কোনো কারিশমা আছে। যেদিন চঞ্চল চৌধুরী এক্স পিএমের সামনে দাঁড়িয়ে "সাদা সাদা কালা" আর "মেঘ থমথম করে কেউ নেই" গান গেয়ে এক্স পিএমকে হিপনোটিজম করেছেন। সেদিন নুসরাত ফারিয়ার উচ্ছ্বাস দেখে মনে হয়েছিল তার ভেতরের সব আরাম-আয়েশ -উত্তেজনা সব ধরণীর বুকে নেমে এসেছে। খুব অল্পদিনের মধ্যে নুসরাত এক্স পিএমের পছন্দের তালিকায় জায়গা পেয়েছেন। আর আমাদের এক্স পিএম তো বাটারিং খুব পছন্দ করতেন। তাই সিনেমা নাটক গানের ভূবনে তার বহু মুরিদ আছে।  যাদের অনেকে গা ঢাকা দিয়েছে। কেউ কেউ বেশভূষা বদলে বিদেশে পালিয়ে গেছে। নুসরাত ফারিয়ার মত অনেকেই কানাডায় রিফিউজি স্ট্যাটাস পাওয়ার জন্য ওয়েটিং লিস্টে আছেন।

মিলি সুলতানার ফেসবুক পোফাইলের পোস্ট থেকে সংগৃহীত...

ইউ

News