ঢাকা,

০৮ জানুয়ারি ২০২৫


তিব্বতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৫৩

বিজনেস আই রিপোর্ট

প্রকাশিত হয়েছে: ১২:০৭, ৭ জানুয়ারি ২০২৫

তিব্বতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৫৩

তিব্বতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৫৩ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৬২ জন।

মঙ্গলবার সকালে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এই তথ্য জানায়।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) তথ্য অনুসারে, তিব্বতের শিগাতসে শহরে স্থানীয় সময় সকাল ৯টা নাগাদ আঘাত হানা ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ১। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার।

শক্তিশালী ভূমিকম্পটি আঘাত হানার পর ওই অঞ্চলে আরও কয়েকটি আফটারশক বলেও জানায় ইউএসজিএস। পার্শ্ববর্তী নেপাল, ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানেও ভূকম্পন অনুভূত হয়। তিব্বতের ওই অঞ্চলটি একটি ভূতাত্ত্বিক ফল্ট লাইনের ওপর অবস্থিত। এ কারণে সেখানে প্রায়শই ভূমিকম্প হয়।

শিগাতসেকে তিব্বতের অন্যতম পবিত্র শহর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। পাঞ্চেন লামার জন্য এটি ঐতিহ্যগত স্থান। তিনি তিব্বতীয় বৌদ্ধধর্মের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। দালাই লামার পরই তার আধ্যাত্মিক কর্তৃত্ব।

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৮। এতে স্পষ্ট কম্পন অনুভূত হয়। এই ভূমিকম্পে হাজারেরও বেশি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিও ও ছবি থেকে জানা যায়, অনেক ভবন ধসে পড়েছে। পরে ওই অঞ্চলে একাধিক শক্তিশালী আফটারশক অনুভূত হয়েছে।

চায়না আর্থকোয়াক নেটওয়ার্কস সেন্টারের গবেষক জিয়াং হাইকুন সিসিটিভি-কে বলেন, একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর শক্তি ধীরে ধীরে কমতে থাকে। প্রক্রিয়াটি একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে চলতে থাকে। এতে আফটারশক অনুভূত হয়।

চীনা বিমান বাহিনী ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেছে এবং ড্রোন পাঠিয়েছে। অঞ্চলটি এভারেস্টের পাদদেশে অবস্থিত। সেখানে তাপমাত্রা অনেক কম। সেখানে পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

এভারেস্টের কাছেই অবস্থিত নেপালের নামচে অঞ্চলের স্থানীয় এক কর্মকর্তা এএফপিকে জানান, নেপালে কম্পন অনুভূত হলেও কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।  

তিব্বতের ভূমিকম্প ব্যুরো মঙ্গলবার বিবিসিকে জানায়, তারা ক্ষয়ক্ষতির আনুমানিক সংখ্যা সম্পর্কে কোনো তথ্য দিতে পারছে না। তারা এখনও নিহতের সংখ্যা যাচাই করছে।

খবর: বিবিসি

টিএইচ

News