
খুলনায় পুলিশ ও সমন্বয়ক পরিচয়ে মারপিট ও চাঁদাবাজির ঘটনায় খুলনার সুন্দরবন কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সান্নু ইসলাম সালাহউদ্দিনসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মারপিট ও চাঁদাবাজির ঘটনায় আটকের পর নগরীর সোনাডাঙ্গা থানায় ভুক্তভোগী ইখতিয়ার উদ্দিন সুমন শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বাদী হয়ে একটি মামলা করলে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন খুলনা সিটি কলেজের প্রাক্তন ছাত্র মাসুদ রানা, বাগেরহাট পিসি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ফয়সাল মাহমুদ, সুন্দরবন আদর্শ কলেজের ছাত্র রিফাত পারভেজ রাফি।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর বয়রা আন্দিরপুকুর এলাকার সুমনের বাড়ি থেকে ওই ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (দক্ষিণ) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ওই ৪ জন ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করেন। এরপর নিজেদেরকে ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে বলে তোরা অনলাইন জুয়ার বোর্ড চালাস। আমাদের দুই লাখ টাকা দিতে হবে।
সুমন চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাকে মারপিট করে এবং ঘরের আলমারি থেকে দুই জোড়া স্বর্ণের কানের দুল, একটি স্বর্ণের রিং একটি ল্যাপটপ এবং তিনটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এ সময় সুমন ঢালীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে গিয়ে তাদের আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়। এ ঘটনায় সোনাডাঙ্গা থানায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সোনাডাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহাদাত হোসেন বলেন, আটক ৪ জনকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
টিএইচ