‘সরকারি হাসপাতালগুলোতে ফোরজি ইন্টারনেট সেবা মিলছে না’

চিকিৎসা সেবায় ইন্টারনেট ও প্রযুক্তি অভাবনীয় সাফল্য এনে দিলেও ঢাকাসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র ও সরকারি হাসপাতালগুলোতে ফোরজি বা চতুর্থ প্রজন্মের ইন্টারনেট সেবা পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে গ্রাহক অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন (বিএমপিসিএ)।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ অভিযোগ করে সংগঠনটি।

এতে বলা হয়, চিকিৎসা সেবায় অভাবনীয় সাফল্য এনে দিচ্ছে ইন্টারনেট ও প্রযুক্তি। তবে ঢাকার অতি গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, পঙ্গু হাসপাতাল, জাতীয় বিজ্ঞান ও চক্ষু হাসপাতাল, শিশু হাসপাতালে ফোরজি ইন্টারনেট সেবা পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার।

গত এক সপ্তাহে বিএমপিসিএর একটি পর্যবেক্ষণ টিম রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা পর্যবেক্ষণ করেছে উল্লেখ করে সংগঠনটি আরও জানায়, ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ এবং বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় যে কয়টি সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র বা হাসপাতাল রয়েছে তা রাজধানীতেই। আর এসব হাসপাতাল ভবনের ৮৫ ভাগ স্থানে পাওয়া যায় না ফোরজি ইন্টারনেট সেবা। টুজি সেবা পাওয়া গেলেও সেটিও মানসম্পন্ন নয়।

বিএমপিসিএ সভাপতি মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, অসুস্থ রোগীরা ও তাদের স্বজনরা পরিবার-পরিজনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বেশ বিড়ম্বনার সম্মুখীন হচ্ছে। ডাক্তারদের চেম্বারে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা থাকায় তাদের চেম্বারে তারা ইন্টারনেট সেবা পেলেও ডাক্তাররা যখন রাউন্ডে থাকেন, তখন তারা ইন্টারনেট সেবার বাইরে থাকেন। দেশের স্বাস্থ্য খাতে যখন সরকার আধুনিক, উন্নত চিকিৎসা সেবা পাওয়ার জন্য দ্রুতগতির ইন্টারনেট এবং প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করছে, সে সময় গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা কেন্দ্রে ইন্টারনেট সেবা না থাকা অত্যন্ত দুঃখজনক।

প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজার রোগী রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে জানিয়ে মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, তাদের সঙ্গে পরিবার পরিজন আত্মীয়-স্বজন সবাই উৎকণ্ঠায় থাকেন। অর্থ লেনদেনের জন্য মোবাইল ব্যাংকিং একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। তাই টেলিযোগাযোগ এবং ইন্টারনেট সেবা হাসপাতালগুলোর জন্য এবং গ্রাহকদের কাছে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম। আর এই মাধ্যমটি যখন অকার্যকর থাকে তখন বর্তমান সময়ে গ্রাহকরা হতাশাগ্রস্ত হয়।

পর্যবেক্ষণকালে অনেক রোগীর আত্মীয়-স্বজন এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন উল্লেখ করে বিএমপিসিএ জানায়, একইভাবে হাসপাতালগুলোর চিকিৎসক নার্স এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ দেখতে চান। তাই বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এবং মোবাইল অপারেটরসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ বিষয়ে  দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।