সিডনিতে সিরিজের শেষ টেস্টে ভারতকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ১০ বছর পর বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি পুনরুদ্ধার করেছে অস্ট্রেলিয়া। একইসাথে আগামী জুনে লর্ডসে অনুষ্ঠিতব্য টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও নাম লিখিয়েছে তারা।
তবে এবারের বোর্ডার–গাভাস্কার ট্রফিতে প্রতি ম্যাচেই অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটিং লাইনআপকে সবচেয়ে বড় পরীক্ষায় ফেলেছেন জসপ্রীত বুমরাহ। গতকাল খেলার মাঝে মাঠ ছেড়ে যাওয়ার আগপর্যন্ত একাই তুলেছিলেন ৩২ উইকেট, যখন ভারতের আর কারও ২০ উইকেটও ছিল না। তাই সিরিজের সেরা ক্রিকেটার হয়েও কিছুটা হতাশ ভারতের সহ-অধিনায়ক। প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়াকে ক্রেডিট দিতেও ভুললেন না।
ম্যাচের পর চোটের হতাশা নিয়ে বুমরাহ বললেন, ‘খুব হতাশ লাগছে। কিন্তু কখনও কখনও শরীরের কথা ভাবতেই হয়। শরীরের বিরুদ্ধে লড়াই করা যায় না। ইচ্ছা না থাকলেও তাই মেনে নিতে হয়। এই সিরিজে বোলিং খুব উপভোগ করেছি। আজ বল করতে পারলে ভালো লাগত। কিন্তু প্রথম ইনিংসের পর থেকে একটা অস্বস্তি হচ্ছিল। সকালেও কথা বলি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে। সতীর্থদের ওপর অবশ্য ভরসা ছিল। প্রথম ইনিংসে আমাদের অন্য বোলাররাও বেশ ভালো বল করেছে।’
সিরিজ হারতে হলেও বুমরাহ মনে করেন, গোটা সিরিজে দু’দলের মধ্যে ভালো লড়াই হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সিরিজে ভালোই লড়াই হয়েছে। আজ সকালেও আমরা লড়াইয়ে ছিলাম। এই সিরিজ আমাদের অনেক অভিজ্ঞ করবে। অনেক কিছু শিখেছি আমরা। আমাদের দলে এবার অনেক তরুণ ক্রিকেটার রয়েছে। যারা প্রথম বার অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট খেলল। এই সিরিজ ওদের ভবিষ্যতে সাহায্য করবে। এই অভিজ্ঞতা আগামী দিনে ওদের আরও শক্তিশালী করবে।’
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ থেকে ভারতের প্রাপ্তি কী? বুমরাহ বলেছেন, ‘এখানে যেগুলো শিখলাম, সেগুলো আগামী দিনে কাজে লাগাতে হবে আমাদের। ক্রিকেট যেমন শেখার, তেমনই পরিবেশ-পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার বিষয়ও। সব মিলিয়ে একটা দারুণ সিরিজ হলো। যোগ্য দল হিসেবে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। ওদের অভিনন্দন।’
দলের ভবিষ্যতের লক্ষ্যের কথাও শোনা গেল বুমরাহের মুখে। তিনি বলেন, ‘আমরা নিজেদের ভুল, দুর্বলতা নিয়ে আলোচনা করব। আমাদের আরও সংঘবদ্ধ হতে হবে। থেমে থাকার সুযোগ নেই। এখান থেকেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’
টিএইচ