যশোরের শার্শা ও বেনাপোলে সীমান্তের ইছামতি নদীর পাড় থেকে একই দিনে ৩টি মরদেহ উদ্ধার করেছে বিজিবি ও পুলিশ। ভারতে প্রবেশের চেষ্টাকালে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের নির্যাতনের তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বজন ও স্থানীয়রা। মরদেহগুলোর শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির আব্বাস জানান, বুধবার সকালে শার্শা উপজেলার পাঁচভুলাট ও পুটখালী সীমান্তের ইছামতী নদীর কাছ থেকে সাবু হোসেন (৩৫) ও জাহাঙ্গীর আলম (৫০) নামে পৃথক দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে বিকালে পাচভুলোট নদীর পাড় থেকে সাকিবুল ঢালি নামে আরও একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সাকিবুল চৌগাছা সাহাজাদপুর এলাকার জামিরুল ঢালির ছেলে। বেনাপোল কাগজপুকুর গ্রামে নানার বাড়িতে থাকতেন তিনি। নিহত সাবু হোসেন বেনাপোল দিঘীরপাড় গ্রামের মৃত আরিফ হোসেনের ছেলে ও জাহাঙ্গীর আলম কাগজপুর গ্রামের ইউনুছ আলী মোড়লের ছেলে।
মঙ্গলবার রাতে ১০-১২ জনের একদল চোরাচালানি এই সীমান্ত দিয়ে ভারতে যায় বলে সীমান্তের একাধিক সূত্র জানায়।
পুলিশ জানায়, বিজিবি ও স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে পাঁচ ভুলাট সীমান্তে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ইছামতি নদীর পাড় থেকে ২টি মরদেহ ও পুটখালি সীমান্ত এলাকা থেকে একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মরদেহের শরীরের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে বলে জানায় পুলিশ ও স্থানীয়রা। ধারণা করা হচ্ছে, এদেরকে পিটিয়ে ও নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।
নিহতদের পরিবারের দাবি, ভারতীয় বিএসএফের হাতে আটক হয়ে নির্যাতনে এদের মৃত্যু হয়েছে।
যশোর সহকারী পুলিশ সুপার (নাভারণ সার্কেল) নিশাত আল নাহিয়ান জানান, কীভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছে তদন্ত করে বলা যাবে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল খুরশিদ আনোয়ার বলেন, ‘সীমান্তের ইছামতি নদীর পাড় থেকে ও পুটখালি এলাকা থেকে ৩টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গায়ে একাধিক ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
টিএইচ