ঢাকা,

১০ জানুয়ারি ২০২৫


টাঙ্গাইলে সড়কে প্রাণ গেল একই পরিবারের ৪ সদস্যের

সাইফুল ইসলাম সবুজ, টাঙ্গাইল থেকে

প্রকাশিত হয়েছে: ২০:৫১, ৯ জানুয়ারি ২০২৫

টাঙ্গাইলে সড়কে প্রাণ গেল একই পরিবারের ৪ সদস্যের

ছবি: বিজনেস আই

ঢাকার সাভারে বাস-অ্যাম্বুলেন্স সংঘর্ষে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হয়ে টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের একই পরিবারের ৪ জনের প্রাণহানি হয়েছে। তাদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম।

বাড়ির উঠানে চার জনের জন্য সাজিয়ে রাখা হয়েছে খাটিয়া। স্বজনরা অপেক্ষায় আছেন মরদেহ কখন আসবে। তবে এখনও ছোট শিশু ফাহিম জানে না তার বাবা, মা, বড় ভাই এবং খালা বেঁচে নেই। সে আনমনে অন্যান্য দিনের মতোই ছুটাছুটি করছে।

ঢাকার সাভার পুলিশ টাউন এলাকায় বাস-অ্যাম্বুলেন্স সংঘর্ষে উপজেলার ভবন দত্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এএইচ ফারুক সিদ্দকী, তার স্ত্রী মহসিনা খন্দকার, ছেলে মহায়মিন সিদ্দিকী ফুয়াদ ও স্ত্রীর বড় বোন সীমা খন্দকার অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়।

ছেলে ফুয়াদ সিদ্দিকী কিছুদিন থেকে অসুস্থ। শরীরে রক্ত কমে যায়। চিকিৎসার জন্য ৮ জানুয়ার (বুধবার) দিবাগত রাতে ছেলে ফুয়াদ সিদ্দিকীসহ পরিবারের চার সদস্য অ্যাম্বুলেন্স যোগে ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা হন। রাত তিনটার দিকে সাভারে বাসের অ্যাম্বুলেন্সের সংঘর্ষ হয়। এতে অ্যাম্বুলেন্সে থাকা একই পরিবারের চারজন নিহত হন। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে তাদের হেফাজতে নেয়।

এদিকে এমন মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার খবরে নিহতের পরিবার ও এলাকা জুড়ে শোকের মাতম বিরাজ করছে। পুরো এলাকা জুড়ে যেনো আকাস বাতাস ভারী হয়ে উঠছে। কান্না যেনো কোনোভাবেই থামছে না স্বজনদের। বাড়ির উঠানে পাশাপাশি ৪টা লাশের খাটিয়া।

মরদেহগুলো এখনও ঢাকায় রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হবে। মরদেহের অপেক্ষায় স্বজন ও এলাকাবাসী।

নিহত ফারুখ হোসেন সিদ্দিকীর ছোটভাই মামুন সিদ্দিকী বলেন, তারা তিন ভই এক বোন। বোন সবার বড়। ইতালি প্রবাসী। বড়ভাই ফারুখ সিদ্দিকী ভবনদত্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। বড় ছেলে ফুয়াদ সিদ্দিকী স্থানীয় ভবনদত্ত গণ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। 

ইউ

News