ঢাকা,

৩০ এপ্রিল ২০২৫


২০২৭ সালের জুনের পর থাকবে না করছাড়

বিজনেস আই রিপোর্ট

প্রকাশিত হয়েছে: ১৯:১৫, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

২০২৭ সালের জুনের পর থাকবে না করছাড়

ফাইল ছবি

২০২৭ সালের জুনের পর শুল্ক ও কর অব্যাহতির প্রজ্ঞাপনভিত্তিক সুবিধা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। কর নীতির টেকসই ও ভারসাম্যপূর্ণ রূপান্তরের অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

সম্প্রতি চূড়ান্ত হওয়া এনবিআরের ‘মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি রাজস্ব কৌশল’ পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, করছাড় ধাপে ধাপে যৌক্তিক হারে কমিয়ে আনা হবে এবং ‘উচ্চ অগ্রাধিকার’ হিসেবে বিষয়টি বাস্তবায়ন করা হবে। এতে ২০২৭ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকের পর আইনসম্মত ব্যতিক্রম ছাড়া করছাড় থাকবে না।

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছর প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকার করছাড় দেওয়া হয়, যার বড় অংশ যায় সমাজের সুবিধাভোগী শ্রেণি ও প্রভাবশালী শিল্প খাতে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অর্থ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামোসহ জনকল্যাণমূলক খাতে ব্যবহার করা হলে রাষ্ট্রের সার্বিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হতে পারে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা প্যাকেজের একটি প্রধান শর্ত ছিল করছাড় হ্রাস করা। এর পরিপ্রেক্ষিতেই এনবিআর এ পরিকল্পনা নিয়েছে।

এনবিআরের কৌশল অনুযায়ী, আগামী দুই বছরের মধ্যে পাঁচটি ধাপে করছাড় সংস্কার কার্যক্রম পরিচালিত হবে:
১. খাতভিত্তিক করছাড়ের পরিমাণ নিরূপণ,
২. করছাড় যৌক্তিকভাবে হ্রাস,
৩. অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয়,
৪. কর আদায় ব্যবস্থাপনায় নতুন নীতিমালা প্রণয়ন,
৫. ধাপে ধাপে ভ্যাট ছাড় তুলে নেয়া।

২০২১-২২ অর্থবছরে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাবদ ১ লাখ ২৯ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা ছাড় দেওয়া হয়, যা আদায়কৃত ভ্যাটের প্রায় ৮২ শতাংশ।
অন্যদিকে, ২০২০-২১ অর্থবছরে আয়কর বাবদ ১ লাখ ১৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা ছাড় দেওয়া হয়, যা আদায়কৃত আয়করের তুলনায় প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকা বেশি।

এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, গত পাঁচ দশকে ২০০টির বেশি প্রজ্ঞাপন জারি করে বিভিন্ন খাতে করছাড় দেওয়া হয়েছে। এগুলোর পুনর্মূল্যায়ন করে ধাপে ধাপে প্রত্যাহার করার লক্ষ্যে একটি বিশেষায়িত দল কাজ করছে।

ইউ

News