ঢাকা,

৩০ এপ্রিল ২০২৫


এবার নুসরাত-অপু-ভাবনা-জায়েদ খানের নামে হত্যাচেষ্টার মামলা

বিজনেস আই রিপোর্ট

প্রকাশিত হয়েছে: ২০:২৫, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

এবার নুসরাত-অপু-ভাবনা-জায়েদ খানের নামে হত্যাচেষ্টার মামলা

ফাইল ছবি

ঢাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের এক হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় তারকা নুসরাত ফারিয়া, অপু বিশ্বাস, নিপুণ আক্তার, আশনা হাবিব ভাবনা, জায়েদ খানসহ ১৭ জন অভিনয়শিল্পীকে আসামি করা হয়েছে। মামলাটি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে, বিশেষত এতে শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীদের নাম যুক্ত থাকায়।

মামলাটি করেন এনামুল হক নামের এক ব্যক্তি। তিনি গত মার্চ মাসে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ২৮৩ জনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশনায় রাজধানীর ভাটারা থানা এটি মামলা হিসেবে গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা সুজন হক।

এ মামলার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন: সুবর্ণা মুস্তফা, রোকেয়া প্রাচী, সোহানা সাবা, মেহের আফরোজ শাওন, জ্যোতিকা জ্যোতি, সাইমন সাদিক ও আজিজুল হাকিম। একই অভিযোগে করা আরেক মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মোট ৪০৭ জনের নাম রয়েছে, যাদের মধ্যে আছেন অভিনেতা ইরেশ যাকেরও।

এ প্রসঙ্গে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘আমি এখন সরকারে আছি। অ্যাক্টিভিস্ট থাকলে অনেক কথা বলতাম। ইরেশ যাকেরকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। সে জুলাইয়ের আন্দোলনে জড়িত ছিল, এটা আমি জানি। ফলে এ ধরনের মামলা গভীরভাবে বিরক্তিকর।’

পুলিশ প্রধান আইজিপি বাহারুল আলম সংবাদ সম্মেলনে মামলার ব্যাপকতায় পুলিশের সীমাবদ্ধতা স্বীকার করে বলেন, ‘বর্তমানে বাদী নিজের হাতে অভিযোগ লিখে থানায় আসেন। আমাদের আইন অনুযায়ী সেটা মামলা হিসেবেই নিতে হয়। সত্য-মিথ্যা যাচাইয়ের সুযোগ থাকে পরে তদন্তে গিয়ে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন অনেকেই মামলা করার স্বাধীনতা পেয়েছে, তবে এর অপব্যবহারও হচ্ছে। নিরীহদের যেন মিথ্যা মামলায় না ফেলা হয়, সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।’

মামলাটিকে ঘিরে রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আলোচনা-সমালোচনা তীব্র আকার ধারণ করেছে। কেউ একে ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অপব্যবহার’ বলছেন, আবার কেউ দেখছেন ‘দায়মুক্তির সংস্কৃতি ভাঙার প্রক্রিয়া’ হিসেবে।

ইউ

News