
ছবি সংগৃহীত
বিশ্বখ্যাত রোমান ক্যাথলিক ধর্মীয় নেতা পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে যোগ দিতে ইতালির ভ্যাটিকান সিটিতে পৌঁছেছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) ভ্যাটিকানের সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায় অনুষ্ঠিত হয় পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যানুষ্ঠান।
ড. ইউনূস ২৫ এপ্রিল (শুক্রবার) কাতারের দোহা থেকে সরাসরি রোমে পৌঁছান এবং আজ সকালে সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে আয়োজিত বহুভাষিক প্রার্থনাসভায় অংশ নেন। এরপর পোপের কফিন নেয়া হয় রোমের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত ঐতিহাসিক সান্তা মারিয়া মেজিওরে বাসিলিকায়, যেখানে তাকে সমাহিত করা হবে।
অনুষ্ঠানে বিশ্বনেতাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টায় (বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে তিনটায়) সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে পৌঁছান সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প। সকাল ১০টায় (বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টায়) শুরু হয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার মূল প্রার্থনাসভা, যার নেতৃত্ব দেন কার্ডিনালদের কলেজের ডিন, ইতালির জিওভান্নি বাতিস্তা রে।
প্রার্থনাসভায় ২২৪ জন কার্ডিনাল এবং ৭৫০ জন যাজক ও বিশপ উপস্থিত ছিলেন। প্রায় ৯০ মিনিটব্যাপী এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পোপ ফ্রান্সিসের কর্মময় জীবনের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
গত ২১ এপ্রিল ৮৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন পোপ ফ্রান্সিস। ২০১৩ সালে তিনি রোমান ক্যাথলিক চার্চের ২৬৬তম পোপ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং পোপ ষোড়শ বেনেডিক্টের উত্তরসূরি হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। ইউরোপীয় নন এমন প্রথম পোপ হিসেবে গত ১০০০ বছরের ইতিহাসে তার নির্বাচন ছিল ঐতিহাসিক।
ভ্যাটিকান সিটি, যেখানে এই শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়, বিশ্বের ক্ষুদ্রতম রাষ্ট্র। এটি ১৯২৯ সালে স্বাধীনতা লাভ করে এবং রোম শহরের মধ্যস্থলে অবস্থিত একটি প্রাচীরবেষ্টিত এলাকা। এখান থেকেই রোমান ক্যাথলিক গির্জার সর্বোচ্চ কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুকে বিশ্ব ধর্মীয় ও রাজনৈতিক মহলে একটি গভীর শোকের দিন হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এই আয়োজন থেকে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করলেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস, যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের মর্যাদা ও উপস্থিতির একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিচ্ছবি বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ইউ