ঢাকা,

২৭ এপ্রিল ২০২৫


শিক্ষা মানুষকে সচেতন ও দায়িত্ববান করে তোলে: রিজওয়ানা

বিজনেস আই রিপোর্ট

প্রকাশিত হয়েছে: ১৫:৫৮, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

আপডেট: ১৫:৫৯, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

শিক্ষা মানুষকে সচেতন ও দায়িত্ববান করে তোলে: রিজওয়ানা

ছবি: উইমেনআই২৪ ডটকম

‘শিক্ষা শুধু ডিগ্রি অর্জনের মাধ্যম নয়, এটি মানুষকে সচেতন, দায়িত্ববান ও ন্যায়নিষ্ঠ করে তোলে”—এ কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য হলো সত্যের সন্ধান, ন্যায়ের প্রতি অঙ্গীকার এবং সমাজ ও পরিবেশের প্রতি দায়বদ্ধতা তৈরি করা।’

শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটির তৃতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।

তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘তোমাদের মনে রাখতে হবে, তোমরা কেবল নিজের জন্য নয়, গোটা সমাজ ও পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশকে নতুনভাবে পরিচিত করে তোলার জন্য তৈরি হয়েছো। আমি বিশ্বাস করি, প্রতিটি শিক্ষার্থীই একেকজন সম্ভাব্য পরিবর্তনের দূত।’

উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান আরো বলেন, ‘শিক্ষা যেন কেবল উপার্জনের হাতিয়ার না হয়; বরং তা সমাজ বদল, দেশ গঠন ও অবহেলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর উপায় হতে হবে। শিক্ষার্থীদের উচিত সাহসের সঙ্গে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো এবং প্লাস্টিক দূষণ, শব্দদূষণ, বন উজাড়, জলাশয় দখল ও জলবায়ু সংকটের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া।’

তিনি বলেন, ‘নারী ও পরিবেশ রক্ষার সংগ্রাম একে অপরের পরিপূরক। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে নারীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, অথচ তারা সবচেয়ে কম দায়ী। এই কারণেই জলবায়ু সংগ্রাম এক ধরনের নারীবাদী আন্দোলন।’

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, ‘তোমরাই আগামীর নেতৃত্ব। তোমাদের প্রতিটি সিদ্ধান্ত পৃথিবীর ভবিষ্যতের উপর প্রভাব ফেলবে। আমরা চাই উন্নয়ন, কিন্তু সেটা যেন প্রকৃতির উপর সর্বনাশ না ডেকে আনে। এসো, প্রকৃতিকে যতটা সম্ভব কম বিরক্ত করি।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. পারভীন হাসান সভাপতিত্ব করেন।

শারমীন এস মুরশিদ তার বক্তব্যে বলেন, ‘রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন শুধু নারী জাগরণের অগ্রদূত নন, তিনি সাহসিকতার প্রতীক।” তিনি বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্ন ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে তরুণ প্রজন্ম দেখিয়েছে। তোমাদের সাহস ও ত্যাগ অনস্বীকার্য।’

তিনি জানান, যারা স্নাতকোত্তর অর্জন করেছেন, তাদের জন্য মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয়ে ইন্টার্নশিপের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে, যাতে তারা মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন ও সমাজকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে গবেষণা করতে পারেন।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান, সদস্যবৃন্দ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ বিশিষ্টজনেরা অংশগ্রহণ করেন।

ইউ

News