ঢাকা,

২০ এপ্রিল ২০২৫


শান্তিরক্ষা মিশনে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

বিজনেস আই রিপোর্ট

প্রকাশিত হয়েছে: ১৭:০৯, ২০ এপ্রিল ২০২৫

শান্তিরক্ষা মিশনে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

ছবি সংগৃহীত

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশি নারীদের অংশগ্রহণ আরো বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

রবিবার (২০ এপ্রিল) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জঁ-পিয়েরে ল্যাক্রোয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ আহ্বান জানান। এ সময় তিনি আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতিও পুনর্ব্যক্ত করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশি নারীদের শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ আরো বাড়াতে আমি উৎসাহিত করছি।’

বৈঠকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রম, নারীর অংশগ্রহণ, প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা উন্নয়নের নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশের ৫ হাজার ৬৭৭ জন শান্তিরক্ষী বিশ্বের ১১টি সক্রিয় মিশনের মধ্যে ১০টিতে কর্মরত রয়েছেন, যা শান্তিরক্ষা বাহিনীতে বাংলাদেশের অগ্রণী ভূমিকা তুলে ধরে।

আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জঁ-পিয়েরে ল্যাক্রোয়া বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নারীদের ভূমিকাকে শুধুমাত্র নির্দিষ্ট পরিসরে সীমাবদ্ধ রাখতে চায় না। বরং সব পর্যায়ে নারীদের সম্পৃক্ততায় জাতিসংঘ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি জানান, এই লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশকে সর্বাত্মক সহায়তা করবে জাতিসংঘ।

প্রধান উপদেষ্টা আরো জানান, বাংলাদেশ অতিরিক্ত সেনা ও পুলিশ সদস্য মোতায়েনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। জাতিসংঘের ‘পিসকিপিং ক্যাপাবিলিটি রেডিনেস সিস্টেম’-এর (পিসিআরএস) র‍্যাপিড ডিপ্লয়মেন্ট লেভেলে পাঁচটি ইউনিট মোতায়েনের প্রতিশ্রুতিও পুনরায় ব্যক্ত করেন তিনি। একইসঙ্গে শান্তিরক্ষা মিশনে নেতৃত্ব পর্যায়েও বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

বৈঠকে মানবাধিকার নিশ্চিতে প্রশিক্ষণ ও জবাবদিহিতা জোরদারে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা চালিয়ে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা।

এছাড়াও বৈঠকে আলোচনায় উঠে আসে মিয়ানমারে চলমান সংঘাত ও সীমান্তে উত্তেজনা। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “নাফ নদী ও সীমান্তবর্তী এলাকায় চলমান গুলিবিনিময় ও বেসামরিক হতাহতের ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন। পরিস্থিতি আরও অবনতি হলে তা নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করতে পারে।” তিনি রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও কার্যকর পদক্ষেপ কামনা করেন।

এ বিষয়ে তিনি জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সাম্প্রতিক কক্সবাজার সফরের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসনের আশায় ওই সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।’

বৈঠকে জানানো হয়, আগামী ১৩-১৪ মে জার্মানির বার্লিনে অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেবে, যার নেতৃত্ব দেবেন বিদেশ উপদেষ্টা।

ইউ

News