
ছবি সংগৃহীত
বাংলাদেশের মহাকাশ গবেষণা কার্যক্রমে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সঙ্গে চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ। এই চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে মহাকাশ গবেষণায় সহযোগিতার পথ প্রশস্ত হলো, যা বাংলাদেশের মহাকাশ খাতে অগ্রগতি এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মহাকাশ অভিযানে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২৫’-এর প্রেস ব্রিফিংয়ে এ চুক্তির কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন। তিনি বলেন, এই চুক্তি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় পদক্ষেপ, যা ভবিষ্যতে মহাকাশ অনুসন্ধানে বাংলাদেশের ভূমিকা আরো শক্তিশালী করবে।
চৌধুরী আশিক মাহমুদ বলেন, ‘আর্টিমিস জেনারেশন আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের, যারা শুধু পৃথিবীতেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, ভবিষ্যতে বিভিন্ন গ্রহে ভ্রমণ করবে। এ চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ ৫৪তম দেশ হিসেবে যুক্ত হলো, যা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়।’ তিনি আরো জানান, এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্প, যার ফলাফল দেখতে আরো ২০-২৫ বছর সময় লাগবে। তবে আজকের পদক্ষেপ ভবিষ্যতের মহাকাশ অভিযাত্রী তৈরি করার একটি ভিত্তি স্থাপন করবে।
চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশকে মহাকাশ গবেষণায় আরো গভীরভাবে যুক্ত করার পাশাপাশি, দেশের যুব সমাজের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ব্রিফিংয়ে, তিনি বিনিয়োগ আকর্ষণে প্রয়োজনীয় সংস্কারের গুরুত্বও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘এখনই সব সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়, তবে আমাদের ধীরে ধীরে এগিয়ে যেতে হবে।’ এছাড়া, ব্রিকসের নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এনডিবি) সম্পর্কিত আলোচনা করতে গিয়ে তিনি জানান, এনডিবি ইতিমধ্যে বাংলাদেশে ৩০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে এবং তারা এ বছর আরো এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে।
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন নাসার অ্যাক্টিং অ্যাডমিনিস্ট্রেটর জ্যানেট পেট্রো। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, মার্কিন দূতাবাসের পাবলিক ডিপ্লোম্যাসি কাউন্সেলর স্টিফেন ইবেলি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আশরাফ উদ্দিন, এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
ইউ