
ছবি সংগৃহীত
শ্রম সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান সতর্ক করে বলেছেন, যদি কোনো কারখানা মালিক প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে শ্রমিক ছাঁটাই করেন, তবে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি জানান, ঈদের পর শ্রমিক ছাঁটাইয়ের মাধ্যমে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির একটি চক্রান্ত চলছে এবং এ ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শ্রম সচিব বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থা সরকারকে জানিয়েছে, ঈদের পর শ্রমিকরা কাজে যোগ দেওয়ার পর বড় ধরনের ছাঁটাই এবং উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা হতে পারে। এসব ঘটনা এড়াতে আজকের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘ছাঁটাইয়ের ক্ষেত্রে যদি আইন না মেনে এবং স্থানীয় প্রশাসন, শিল্প পুলিশ, আর্মি ও কলকারখানা পরিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া কোনো ছাঁটাই করা হয়, তবে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। আমরা এটি ধরব, যে কোনো কারখানা মালিক শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টি করার মাধ্যমে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে করার চেষ্টা করছেন।’
এ এইচ এম সফিকুজ্জামান জানান, ছাঁটাইয়ের কারণে যদি শ্রমিকদের কোনো অভিযোগ থাকে, তবে তা সরকারী দপ্তরগুলোকে জানাতে হবে। তিনি হুঁশিয়ারি দেন যে, কোনো শ্রমিক যদি রাস্তা বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখানোর চেষ্টা করেন, তবে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, ‘বিক্ষোভের অধিকার রয়েছে, তবে রাস্তা বন্ধ করার অধিকার নেই।’
শ্রম সচিব আরো বলেন, ‘কিছু শ্রমিক নেতা উসকানি দিচ্ছেন এবং তাদের খুঁজে বের করা হয়েছে। যারা উসকানি দিচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ তিনি উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন যে, কিছু শ্রমিক সম্প্রতি টিএনজেড কারখানার সামনে সমাবেশ করেছেন, কিন্তু বৈঠকে অংশ না নিয়ে ওই সমাবেশ করছেন।
তিনি আরও জানান, টিএনজেড কোম্পানির ৪টি কারখানার শ্রমিকদের বেতন বকেয়া ছিল, এবং কোম্পানিটি বর্তমানে আর চলমান নয়। এই কারণে, সিদ্ধান্ত হয়েছে যে টিএনজেডের চারটি কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং এর ৩২০০ শ্রমিকের সমস্যা সমাধান করতে উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করা হবে।
এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘বেক্সিমকো মডেল প্রয়োগ করা হবে, যেখানে ৪০ হাজার শ্রমিকের সমস্যার সমাধান করা হয়েছে।’ তিনি নিশ্চিত করেন, টিএনজেডের মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং তাকে বিদেশে বসে থাকা অবস্থায় দেশে ফেরানোর জন্য ইন্টারপোলের সাহায্য নেয়া হবে।
ইউ