
জনগণকে আস্থায় যদি আনতে হয়, তাহলে যে সংস্কারগুলো জনগণের ক্ষেত্রে আসে, সেগুলোর ক্ষেত্রে ঐকমত্যে না পৌঁছানোর কোনো উপায় নেই বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
আজ বুধবার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা দিবসে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘গতানুগতিক কিছু চ্যালেঞ্জ তো থাকেই। তবে এখন একটা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বিভিন্ন সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্য গড়ার।
এটাকে চ্যালেঞ্জ বলেন আর না বলেন, এটা একটা প্রক্রিয়া তো বটেই। আরেকটা হচ্ছে নির্বাচনটা সুষ্ঠুভাবে করে দেওয়া, জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করা।’
তিনি বলেন, ‘আরেকটা বড় বিষয় হচ্ছে, সব সময় আমরা বলি, এই যে জুলাই-আগস্টে যে হত্যাকাণ্ডটা হলো, যে বর্বরতাটা হলো, এটার একটা সুষ্ঠু বিচার। এখন আমাদের সীমিত সময়ে আমরা অবশ্যই চেষ্টা করব, মানুষকে এই বিচারের কিছু কিছু রায় যদি সামনে দিতে পারি, তাদের মধ্যে যেন ওই আস্থাটা আসে, সত্যিই এই বর্বরতার একটা বিচার হচ্ছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘প্রত্যাশা হলো, জাতীয় স্বার্থে ব্যক্তিগত ও দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে আমরা ঐকমত্য করব। কিন্তু একেকজন মানুষ একেকটা বিষয় একেকভাবে দেখে। দৃষ্টিভঙ্গি একেকভাবে আনে। সেই দৃষ্টিভঙ্গির যে তফাতগুলো আছে, সেগুলো কমিয়ে একটা জায়গায় নিয়ে আসা, সেটা একটু সময় লাগবে।
টিএইচ