
বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে লাগা আগুনে পুড়ে গিয়েছে মহাখালির সাততলা বস্তির শতাধিক ঘরবাড়ি এবং দোকানপাট। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও বড় ক্ষতি হয়ে গিয়েছে বস্তির বাসিন্দাদের।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর আজ বুধবার সরেজমিনে সাততলা বস্তি ঘুরে দেখা যায়, আগুনে কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও ভুক্তভোগীদের ক্ষতি হয়েছে অসামান্য।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, গতকাল (মঙ্গলবার) দিবাগত রাত ৩টা ২০মিনিটের দিকে আগুন লাগে। বেশিরভাগই টিনের ঘর হওয়ায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সময়মতো ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসলেও ততক্ষণে বস্তিজুড়ে ছড়িয়ে পরে আগুন।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানি হেমায়েত বলেন, রোজার মাস হওয়ায় অনেকেই জেগে ছিলেন। তাই দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়লেও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। সবাই এক কাপড়ে বের হয়ে প্রাণে বেঁচেছেন বলে জানান তিনি।
আগুনে সর্বস্ব হারিয়ে দিশেহারা সাততলার বস্তিবাসী। ছবি: তাহিয়াত নাজিফা নুর/ইউএনবি
আরেক ভুক্তভোগী এনায়েত বলেন, 'আমার জমানো ২ লাখ টাকা ছিল ঘরের ড্রয়ারে। রাতে ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ মানুষের চিল্লাচিল্লি শুনে বেড়িয়ে দেখি দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। শুধু লুঙ্গি পড়ে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বের হতে পারছি। আগুন নেভার পর ঘরে এসে দেখি টাকাসহ প্রয়োজনীয় সব পুড়ে গেছে।'
পুড়ে যাওয়া চাল সরিয়ে খুটে খুটে ভালো চাল পাত্রে জমা করছিলেন ফরিদা। তিনি বলেন, ঘর পুড়ে গেছে। টাকা-পয়সা, গয়না-গাটি, তৈজসপত্র কিছুই অক্ষত নেই। এই অবস্থায় অন্তত দুমুঠো খাওয়ার জন্য পুড়ে যাওয়া চাল থেকে ভালো চাল আলাদা করছেন তিনি।
পুড়ে ছারখার সাততলা বস্তি। ছবি: তাহিয়াত নাজিফা নুর/ইউএনবি
ফায়ার সার্ভিসের তথ্যমতে, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টা ৪০মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় তারা। ১০ মিনিটের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ভোর ৫টা ২০ মিনিটে মোট আটটি ইউনিটের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
আগুনে দেড়শ'র ওপরে ঘরবাড়ি এবং বেশ কয়েকটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মূলত শর্ট সার্কিটের কারণেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ফায়ার সার্ভিস।
টিএইচ