ঢাকা,

১২ মার্চ ২০২৫


ঢাকায় উপাধ্যক্ষকে কুপিয়ে হত্যা, ফরিদপুর থেকে দম্পতি গ্রেপ্তার

প্রকাশিত হয়েছে: ২৩:৪৮, ১১ মার্চ ২০২৫

ঢাকায় উপাধ্যক্ষকে কুপিয়ে হত্যা, ফরিদপুর থেকে দম্পতি গ্রেপ্তার

রাজধানীর উত্তরখানের পুরান পাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয় শান্তিনগরের হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজের উপাধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) সাইফুর রহমান ভুঁইয়াকে (৫০)। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মুজাহিদুর রহমান ভূঁইয়া বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করেছেন।

পুলিশ বলছে, হত্যাকাণ্ডের পর থেকে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ওই ফ্ল্যাটে ২০-২২ বছর বয়সী একজন তরুণ ও একজন তরুণীকে ঘিরে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। ইতোমধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করেছে উত্তরখান থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন নাজের ও রুপা। তারা স্বামী-স্ত্রী।

আজ মঙ্গলবার ফরিদপুর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে উত্তরখান থানা পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. মুহিদুল ইসলাম বলেন, আজকে ফরিদপুর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই দুইজন স্বামী-স্ত্রী‌‌। গত সাত মাস আগে তাদের বিয়ে হয়েছে। তাদের ফোনের মাধ্যমে পরিচয়, এরপর তারা একে অপরকে বিয়ে করেন। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনের কাছাকাছি চলে এসেছি। তাদেরকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে আমরা হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য বের করতে পারব।

এই বিষয়ে উত্তরখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান বলেন, উত্তরখানের পুরান পাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় খুন হন হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজের উপাধ্যক্ষ সাইফুর রহমান ভুঁইয়া। ওই ফ্ল্যাটে কয়েকদিন আগে রুপা ও নাজের নামের এই দম্পতি ওঠেন। এরপর সোমবার ভোরে তারাই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে পালিয়ে যান বলে অভিযোগ রয়েছে। তারা ঢাকা থেকে পালিয়ে ফরিদপুরে আত্মগোপন করেন। এরপর অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এদিকে এই ্ঘটনায় নিহতের ভাই মুজাহিদুর রহমান ভূঁইয়া বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করেছেন। এজাহারটি হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করেছে উত্তরখান থানা পুলিশ। মামলায় অজ্ঞাতনামা হিসেবে আসামি করা হয়েছে।

এই বিষয়ে মো. মুহিদুল ইসলাম বলেন, উপাধ্যক্ষ সাইফুর রহমান ভুঁইয়াকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার ভাই বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। উত্তরখানের পুরানপাড়ার শাহী শাহনেওয়াজের বাড়ির চতুর্থ তলার ভাড়া ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন সাইফুর রহমান ভুঁইয়া। কয়েক মাস আগে ফ্ল্যাটটি ভাড়া নিয়েছিলেন। সেখানে তিনি একাই থাকতেন। তবে একজন ছেলে ও একজন মেয়েকে ঘিরে সন্দেহ তৈরি হয়েছে।

এর আগে দক্ষিণখান জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. নাসিম এ-গুলশান জানান, সম্প্রতি একজন তরুণ ও তরুণী ওঠেন ওই ফ্ল্যাটে। ধারণা করা হচ্ছে, সোমবার ভোরে তারাই হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়ে পালিয়েছেন। তাদেরকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে। আশা করছি শিগগিরই তাদেরকে আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচিত হবে।

এদিকে আজ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। পরে পুলিশ মরদেহ আত্মীয়ের কাছে হস্তান্তর করেছে।

News