জেলার আটপাড়া উপজেলার মনসুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সাইফুল ইসলামের নামে নানা অভিযোগ। মনসুরপুর পুরাতন বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছে চাদাঁ দাবি ও প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করার সময় স্কুলের নকশা পরিবর্তন করে স্কুল নির্মাণ করেছে।
এমন নানা অভিযোগ উঠেছে মনসুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সাইফুল ইসলাম এর নামে। তিনি ব্যবসায়ীদের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগটি করেছেন সাংবাদিকদের কাছে মনসুরপুর বাজারের ব্যবসায়ীগনের পক্ষ থেকে মোঃ খোকন মিয়া। অভিযোগে জানা যায় মনসুরপুর পুরাতনবাজারে ১৮ জন ব্যবসায়ী ৬০ বছর ধরে ব্যবসা করে আসছেন।
এর মধ্যে হঠাৎ করে গত কয়েক মাস ধরে ব্যবসায়ীদের নামে বিভিন্ন দপ্তরে উচ্ছেদের জন্য প্রধান শিক্ষক অভিযোগ করেছেন। বাজারের ব্যবসায়ীগণ বলেছেন বাজারে ব্যবসা করা যাবে যদি প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলামকে মোটা অংকের টাকা দেওয়া যায় এবং তিনি আমাদের কাছে চাঁদা দাবি করেছেন।এই নিয়ে প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম চাদাঁ দাবির বিষয়টি অস্বিকার করেছেন। মনসুরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক মোঃ দেলোয়ার হোসেন জানান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নকঁশা পরিবর্তন করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্থাপন করেছে।এই নিয়ে এলাকাবাসীর অভিযোগ রয়েছে খেলার মাঠ নষ্ট করে প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করেছে প্রধান শিক্ষক। এখন স্কুলের ছেলে মেয়েরা খেলাধুলা করতে পারছেনা।
ময়মনসিংহ মহানগর যুবদলের সহ সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার ইমন বলেন আমি এলাকার সন্তান হিসেবে বলছি প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নকঁশা পরিবর্তন করে আব্দুল হামিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ নষ্ট করেছে।এখন স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের খেলার মাঠ নেই এবং শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছে চাদাঁ দাবি করেছেন।
তিনি স্কুলে থাকেন না সারাদিন টিকাদারি নিয়ে ব্যস্ত থাকেন খুঁজ নিলে সকলেই জানতে পারবেন বলে জানান। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসী ও স্কুলের শিক্ষক সহ অভিভাবকগণ নিন্দা জানিয়েছেন।
এছাড়া বাজারের ব্যবসায়ী খোকন মিয়া জানান ৬০ বছরের মনসুরপুর পুরাতন বাজার রয়েছে সেখানে ২৫ বছর ধরে তারা ব্যবসা করে আসছেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলামকে টাকা না দিলে তাদের উচ্ছেদ করে দিতে চায়।
এই নিয়ে এলাকাবাসী ও বাজারের ব্যবসায়ীগন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকার্তা মোহাম্মদ শহিদুল আজম তিনি বলেন আমি আটপাড়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করে শিক্ষকের বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান।
টিএইচ