মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিম পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট ক্যাম্পাসে ছাত্রদল ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষে সাধারণ শিক্ষার্থীসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দুইজনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ জনকে আটক করা হয়েছে।
আজ রোববার (৫ জানুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন শ্রেণির পরীক্ষায় ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজনের অংশগ্রহণ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ও হট্টগোল শুরু হয়। পরে ছাত্রলীগ কর্মীদের পক্ষে বহিরাগতরা ছুটে এলে ছাত্রলীগ কর্মী দুর্জয় আহমেদ ও ছাত্রদল কর্মী আল আমিন গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় লাঠিসোঁটা ও ধারালো দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষ। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আহত হন ওই প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থী।
এই ঘটনায় উভয় পক্ষের আহতরা হলেন- ছাত্রলীগ কর্মী দুর্জয় আহমেদ (২৪), ছাত্রদল কর্মী আল আমিন রক (১৯), কামরুল হাসান রবিন (২২), তনয় (২২), মেহেদি (২১), রিপন (২১), মোহিত (২১), রাকিবুল (২২) ও আলিফ (২১)।
আহত ছাত্রলীগ কর্মী দুর্জয় আহমেদ বলেন, আমি এক সময় ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছি। তবে আমি কোনো পদে নেই। রোববার পরীক্ষায় অংশ নিতে এলে আমাকে তুলে নিয়ে মারধর করে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা।
আহত ছাত্রদল কর্মী আল আমিন রক বলেন, বহিরাগত লোক নিয়ে এসে ছাত্রলীগ কর্মীরা আমাদের এক সহপাঠীর ওপর হামলা করে। পরে আমরা প্রতিরোধ করতে গেলে আমাদের সঙ্গে সংঘর্ষ বেধে যায়।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ জনকে আটক করা হয়েছে। পাশাপাশি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
টিএইচ