ছবি সংগৃহীত
সীমান্তে বাংলাদেশের ‘বায়রাক্তার টিবি২’ ড্রোন মোতায়েনের যে খবর ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে তা ভিত্তিহীন ও মিথ্যা বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ভেরিফায়েড় ফেসবুক পেজে এ কথা জানানো হয়।
এর আগে সকালে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এক প্রতিবেদনে জানায়, বাংলাদেশ সীমান্তে বায়রাক্তার টিবি২ ড্রোন মোতায়েন করেছে বাংলাদেশ।
এরপর দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ফ্যাক্ট চেকে দেখা গেছে, এই খবর পুরোপুরি মিথ্যা ও গুজব। ভারত সীমান্তে এমন কোনো ড্রোন মোতায়েন করেনি বাংলাদেশ।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ফ্যাক্ট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই প্রতিবেদন মিথ্যা ও অতিরঞ্জিত খবর। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, বাংলাদেশ তার রুটিন কার্যক্রম ছাড়া দেশের কোনো অংশে কোনো ড্রোন মোতায়েন করেনি। এ ধরনের খবর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চালানো অপপ্রচার।
বায়রাক্তার টিবি২ হলো তুরস্কে তৈরি আক্রমণকারী একটি ড্রোন। এটির নকশাকার হলেন সেলজুক বায়রাক্তার। তুর্কি ভাষায় বায়রাক্তার শব্দের অর্থ হলো পতাকাবাহী।
২০২১ সালে নোগোর্নো-কারাবাখের যুদ্ধে আর্মেনিয়ান বাহিনীকে এই একই ড্রোন ব্যবহার করে পরাজিত করেছিল আজারবাইজান।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান। এরপর অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ও প্রতিবেশী ভারতের সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়। দুদেশের সংখ্যালঘু ইস্যুসহ নানা ঘটনাপ্রবাহে এই দ্বন্দ্ব বাড়তে থাকে।
ইউ