ফাইল ছবি
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের নিন্দা জানিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন ভারতের কয়েকজন মুসলিম নেতা। তারা হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের রক্ষায় যথাযথ পদক্ষেপ নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে লেখা এক চিঠিতে এই আহ্বান জানানো হয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের খবরে এই তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চিঠিতে স্বাক্ষর করেন ভারতের সাবেক মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এস ওয়াই কুরেশি, দিল্লির সাবেক লেফটেন্যান্ট গভর্নর নাজিব জং, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য জমির উদ্দিন শাহ, সাবেক লোকসভা সদস্য শাহিদ সিদ্দিকি এবং শিল্পপতি সাঈদ শেরভানি।
চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের প্রতি নির্যাতনের ঘটনা ভারতীয় মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। আমরা এ ধরনের আচরণে হতাশ, যা স্পষ্টতই ধর্মীয় নীতির পরিপন্থী। আমরা সত্যিকার অর্থে আশা করি, বাংলাদেশ সরকার সব ধরনের সাম্প্রদায়িক উপাদানের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেবে এবং হিন্দু জনগোষ্ঠী ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। সংখ্যালঘুদের সঙ্গে আচরণ গণতন্ত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সব সমাজে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দিতে হবে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, সবচেয়ে দুঃখজনক ঘটনা হলো— কোনো আইনজীবী হামলার ভয়ে সংক্ষুব্ধদের পক্ষ নিতে প্রস্তুত নন। বর্তমান সরকার যদি এই শোচনীয় উন্নয়নকে দমন না করে তাহলে তা হবে মৌন সমর্থনের প্রতিফলন। দক্ষিণ এশিয়াকে এই কথা ভাবতে হবে, যা এই অঞ্চলকে গ্রাস করেছে। সংখ্যালঘুদের স্বার্থ রক্ষায় মানবাধিকার এবং জাতিসংঘ সনদের এমন লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে আমাদের অবশ্যই কথা বলতে হবে এবং নিন্দা জানাতে হবে। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে অবিলম্বে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানায়।
টিএইচ