ঢাকা,

২৭ নভেম্বর ২০২৪


ভুয়া নামে ১২ কোটি টাকা ঋণ: এস আলমের বিরুদ্ধে মামলা

বিজনেস আই রিপোর্ট

প্রকাশিত হয়েছে: ১৬:৫৭, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

ভুয়া নামে ১২ কোটি টাকা ঋণ: এস আলমের বিরুদ্ধে মামলা

ফাইল ছবি

চট্টগ্রামে মজিবুর রহমান নামের রেস্টুরেন্ট কর্মচারী এবং ওয়াসিয়া আক্তার নামে রেস্টুরেন্ট মালিকের ন্যাশনাল আইডি কার্ড ব্যবহার করে ব্যাংক থেকে কোটি কোটি টাকা ঋণ তুলে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় রেস্টুরেন্ট কর্মচারী মজিবুর রহমান বাদী হয়ে এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম মাসুদ, তাঁর এপিএস এসএম নজরুল ইসলামসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। 

২৫ নভেম্বর (সোমবার) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে মামলা করা হয়। আদালত মামলা গ্রহণ করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।  

মামলা দায়েরকারী রেস্টুরেন্ট কর্মচারী মজিবুর রহমানের আইনজীবী মাহমুদুল হক জানান, রেস্টুরেন্ট কর্মচারী মজিবুর রহমান ও ওয়াসিয়া আক্তারের ন্যাশনাল আইডি কার্ড ব্যবহার করে নীলিমা নীল অ্যাগ্রো নামে ভুয়া প্রতিষ্ঠান খোলা হয় ২০১৪ সালে। একই সালের ২৫ নভেম্বর এস আলম নিয়ন্ত্রিত ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চকবাজার শাখা থেকে ১২ কোটি টাকার ঋণ ইস্যু করা হয়। এই বিপুল অংকের ঋণের কথা কিছুই জানতেন না মজিবুর ও ওয়াসিয়া আক্তার। দীর্ঘ ১১ বছর পর ব্যাংকের পক্ষ থেকে ঋণ পরিশোধের জন্য নোটিশ পেলে তিনি বিষয়টি জানতে পারেন। জানার পর বার বার ব্যাংকে ধর্না দিয়েও কোনো সুরাহা পাননি। সর্বশেষ বর্তমানে ব্যাংকটি এস আলমের নিয়ন্ত্রণমুক্ত হওয়ার পর এই ভুয়া ঋণের ব্যাপারে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নেন মজিবুর রহমান।

সোমবার মজিবুর রহমান কর্তৃক আদালতে দায়েরকৃত মামলায় আসামি করা হয়েছে এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম মাসুদ, তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী এস এম নজরুল ইসলাম, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক চকবাজার শাখার কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, শাহাব উদ্দিন, নজরুল ইসলাম ও মোহাম্মদ ওসমানকে।

মজিবুর রহমান বলেন, ‘আমি রেস্টুরেন্ট কর্মচারী। এত বিপুল পরিমাণ ঋণ গ্রহণের কোনো সক্ষমতা আমার নেই। আমার কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। এস আলম ও সংশ্লিষ্ট আসামিরা কোনোভাবে আমার ন্যাশনাল আইডি কার্ড সংগ্রহ করে ভুয়া প্রতিষ্ঠান বানিয়ে সেই প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ তুলে নিয়েছে ব্যাংক থেকে। উক্ত ব্যাংকে আমার কোনো সাধারণ হিসাবও নেই। এছাড়া যে নারীর সঙ্গে যুক্ত করে আমাকে প্রতিষ্ঠান বানিয়ে ঋণ ইস্যু করা হয়েছে, সেই নারীকেও আমি চিনি না।’ 

এ ব্যাপারে বার বার ব্যাংকে জানালেও তারা বিষয়টি আমলে নেয়নি। তাই আইনানুগ প্রতিকার পেতে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক চকবাজার শাখার ব্যবস্থাপক এস এম সিরাজুল ইসলাম বলেন, অনেকে নিজে ঋণ নিয়ে পরে অস্বীকার করেন। বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে।

ইউ

News