রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) ছাত্রদলের পোস্টার ছেঁড়ায় হুমকির অভিযোগ উঠেছে। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ক্যাম্পাসে সাঁটানো পোস্টার ছেঁড়ায় এ হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ে কাগজ-কলমে রাজনীতি নিষিদ্ধ হলেও প্রশাসনিক ভবনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে পোস্টারিং করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের শেকৃবি শাখা। পরবর্তীতে পোস্টার ছেঁড়ার প্রতিক্রিয়াস্বরূপ পোস্টারের গায়ে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হুমকি দিয়ে এসব লেখা প্রকাশ করেছেন ছাত্রদলের কর্মীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব সিরাজউদ্দৌলা হলে দেখা যায়, ছেঁড়া পোস্টার টেপ দিয়ে লাগিয়ে সেখানে কলম দিয়ে লেখা হয়, ‘একবার ছিঁড়ছিস, বারবার ছিঁড়... সমস্যা নাই। মাইর কিন্তু একবারই পড়বে। কে কোন দিক থেকে মারতেছে, বুঝতেই পারবি না।’ এ ছাড়া লেখা হয়, ‘শান্তি চাই সবাই, শান্তিতে থাকতে দে।
এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন হুমকি দিয়েছেন ছাত্রদলকর্মী। ছাত্রদলকর্মী মো. মোজাহিদুল ইসলাম তোহা লিখেছেন, ‘ক্যাম্পাস কি তোর বাপের বে? যতটুকু ক্যাম্পাস তোর, ততটুকু আমাদেরও। পোস্টার ছিঁড়িস কোন সাহসে?’
পোস্টারের ওপর লিখিত হুমকির বিষয়ে জানতে চাইলে শেকৃবি ছাত্রদল সভাপতি তাপস কবীর বলেন, ‘কে পোস্টার ছিঁড়েছে, আবার কে তাতে কী লিখে দিয়েছে, এ ব্যাপারে কিছুই জানি না।’
জুনিয়র শিক্ষার্থীদের মাঝে আধিপত্য বিস্তার ও ফেসবুক পোস্ট দেওয়ায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থী মোজাহিদুল ইসলাম তোহা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখন তো অনেক সাধারণ শিক্ষার্থী নতুন ছাত্রদলে যোগ দিচ্ছে, সবাইকে চেনা সম্ভব না।
তবে যেহেতু সেই ছেলে সম্পর্কে শুনলাম, খোঁজ নেব। কেউ বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করলে তার জায়গা ছাত্রদলে হবে না।’
এ বিষয়ে শেকৃবি প্রক্টর ড মো. আরফান আলী বলেন, ‘ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ। আমরা পোস্টারিংয়ের বিষয়ে নিরুৎসাহিত করেছি, তবু বিভিন্ন স্থানে পোস্টারিং করেছে তারা। এগুলো আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।
আমরা পরিকল্পনা করছি যেন এই ধরনের কার্যক্রম না ঘটে, তবু কিছু ক্ষেত্রে ঘটে যাচ্ছে। হুমকির ব্যাপারে আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।’
টিএইচ