ছবি সংগৃহীত
কোটা আন্দোলন ঘিরে সারাদেশে ব্যাপক নাশকতা ও প্রাণহানি ঘিরে টানা পাঁচদিন অচল থাকার পর অনেকটাই স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে দেশের পরিস্থিতি।
বুধবার (২৪ জুলাই) সকাল থেকে কারফিউ শিথিল থাকায় অফিস-আদালত, ব্যাংক খুলেছে। সড়ক-মহাসড়কে বেড়েছে যানবাহনের চলাচল। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সড়কে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতি।
সকাল থেকেই অফিস, আদালত ও কারখানা খুলে দেওয়ায় সকাল থেকে সড়কে যানবাহন ও মানুষের ভিড় বাড়তে শুরু করে। ১০টার রাজধানীতে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। হাজার হাজার যানবাহনে চাপে রাজধানীতে স্থবির অবস্থা দেখা দেয়।
গার্মেন্টস কারখানাগুলোর উৎপাদন কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সকাল থেকেই চট্টগ্রামে কর্মস্থলে যোগ দেন শ্রমিকরা। এ সময় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে ফেরে কর্ম চাঞ্চল্য।
শ্রমিকরা জানান, সহিংসতার কারণে এই কয়দিন নিরাপত্তাহীনতায় থাকলেও আজ পথে কোন সমস্যা হয়নি। স্বাভাবিক হয়েছে এটিএম বুথের কার্যক্রম।
সিলেটের ব্যাংকগুলোতে দেখা যায় মানুষের দীর্ঘ সারি। গ্রাহকরা জানান, পুরো সপ্তাহ লেনদেন করতে না পারায় আজ সুযোগ পেয়ে সবাই ব্যাংকে এসেছেন।
রংপুরেও খুলেছে দোকানপাট। ব্যাংক, বিমার মতো অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম দেখা যায় স্বাভাবিক। এতে স্বস্তি ফিরেছে জনজীবনে।
কারফিউ শিথিল হওয়ায় বরিশালের সড়কে যানবাহনের সংখ্যা বেড়েছে। তবে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেছেন অনেক যাত্রী।
খুলনায় সকাল থেকে কারফিউ শিথিল থাকায় সড়ক-মহাসড়কে যানবাহনের ভিড় বেড়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা।
ময়মনসিংহে রাস্তায় বের হলেই চোখে পড়ছে অফিসগামী মানুষের চলাচল। তবে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় সড়কে গণপরিবহনের সংখ্যা অনেকটাই কম।
নেত্রকোণায় রাস্তায় গণপরিবহন ও মানুষের চলাচল বাড়ায় সবার মধ্যেই ফিরেছে স্বস্তি । রাজশাহীতে খুলেছে দোকানপাট। সড়কে শুরু হয়েছে অভ্যন্তরীণসহ দূর পাল্লার যানবাহন।
ইউ