ঢাকা,

১৯ এপ্রিল ২০২৫


সরকারের নতুন আউটসোর্সিং নীতিমালা জারি

বিজনেস আই রিপোর্ট

প্রকাশিত হয়েছে: ১৬:৩৭, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

সরকারের নতুন আউটসোর্সিং নীতিমালা জারি

ফাইল ছবি

দৈনন্দিন প্রশাসনিক কার্যক্রমে গতিশীলতা আনা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে স্বল্পসময়ে মানসম্মত সেবাগ্রহণের লক্ষ্যে সরকার নতুন ‘আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় সেবা গ্রহণ নীতিমালা, ২০২৫’ জারি করেছে। এই নীতিমালায় ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী ব্যক্তি আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সরকারি খাতে কাজের সুযোগ পাবেন।

নীতিমালা অনুযায়ী, আউটসোর্সিংয়ের আওতায় সেবা প্রদানকারীরা তিনটি বিশেষ ও পাঁচটি সাধারণ ক্যাটাগরিতে সর্বনিম্ন ১৬,৬৭৩ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৪২,৯৭৮ টাকা পর্যন্ত মাসিক সেবামূল্য পাবেন।

ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় নিয়োজিত সর্বোচ্চ পর্যায়ের বিশেষ সেবাকর্মীরা মাসে ৪২,৯৭৮ টাকা পর্যন্ত পাবেন। অন্যদিকে নিরাপত্তা প্রহরী, ক্লিনার, আয়া, মেসেঞ্জারসহ অন্যান্য সাধারণ ক্যাটাগরির সেবাকর্মীদের সর্বনিম্ন মাসিক সেবামূল্য নির্ধারিত হয়েছে ১৬,৬৭৩ টাকা।

নতুন নীতিমালার আওতায় আউটসোর্সিংয়ের জন্য ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী শারীরিক ও মানসিকভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের নির্বাচন করা হবে। নারী কর্মীদের উপযুক্ত ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

এই নীতিমালা মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সরকারি দপ্তর, সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান, স্বশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানসমূহে প্রযোজ্য হবে।

সেবার ধরন ও বেতন কাঠামো:

  • বিশেষ সেবা ১-৩: সোসিওলোজিস্ট, প্রকৌশল, প্রশিক্ষণ, গবেষণা, আইটি সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য সর্বোচ্চ সেবামূল্য।

  • সাধারণ ক্যাটাগরি ১-৫: ড্রাইভার, কারিগরি শ্রমিক, ক্লিনার, বাবুর্চি, প্রহরী, আয়া, সহকারী ইত্যাদি কাজে নিয়োজিতদের জন্য আলাদা আলাদা হার নির্ধারিত হয়েছে।

সেবাকর্মীরা বছরে ১৫ দিনের ছুটি, নারী কর্মীরা ৪৫ দিনের মাতৃত্বকালীন ছুটি পাবেন। উৎসব ভাতা ও বৈশাখী ভাতা ছাড়াও প্রতি অর্থবছরে দুই সেট ইউনিফর্ম, মৌলিক প্রশিক্ষণ এবং সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্তির সুযোগ থাকবে।

আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে সেবাগ্রহণের ক্ষেত্রে সরকারি পিপিআর আইন অনুযায়ী বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অথবা অনুমোদিত সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে সেবা নেওয়া হবে। সরাসরি ব্যক্তির কাছ থেকেও সেবা ক্রয়ের সুযোগ রয়েছে, তবে অর্থ বিভাগের অনুমতির প্রয়োজন হবে।

সেবা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন, নিয়ন্ত্রণ ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম তদারকি করবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগ। সেবার মেয়াদ সাধারণত দুই বছর, তবে প্রয়োজন অনুযায়ী অর্থ বিভাগের অনুমতিক্রমে তা বাড়ানো বা কমানো যাবে।

যেসব কাজে হরিজন সম্প্রদায়কে সম্পৃক্ত করা যায়, সেখানে তাদের অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। নিরাপত্তা সেবা ক্ষেত্রে অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের নিয়োগে অগ্রাধিকার থাকবে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের সর্বত্র মানসম্মত সেবা নিশ্চিত ও ব্যয় সাশ্রয়ের লক্ষ্যেই এই নতুন নীতিমালা কার্যকর করা হয়েছে। অর্থসচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার স্বাক্ষরিত এই নীতিমালা মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) জারি করা হয় এবং তা অবিলম্বে কার্যকর হবে।

ইউ

News