
ছবি সংগৃহীত
ভারত থেকে স্থলবন্দর ব্যবহার করে সুতা আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা ও বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুবিধা বাতিল করা হয়েছে। আদেশটি তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর করা হয়েছে।
এর আগে ২০২৪ সালের ২৭ আগস্টের একটি প্রজ্ঞাপন সংশোধন করে এই নতুন নির্দেশনা জারি করা হয়। মূলত ভারত থেকে তুলনামূলক কম দামে সুতা আমদানি হওয়ায় দেশের স্থানীয় সুতা উৎপাদকরা প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছিল—এমন অভিযোগের ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত এসেছে।
বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় সুতা আমদানি বন্ধের দাবি তোলে। এরপর মার্চে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন এনবিআরকে একটি চিঠি দিয়ে পোশাকশিল্পে দেশীয় সুতার ব্যবহার নিশ্চিত করতে স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে।
ট্যারিফ কমিশনের ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, স্থলবন্দর ও কাস্টমস হাউসগুলোতে আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী সুতা কাউন্ট নির্ধারণে পর্যাপ্ত অবকাঠামো না থাকায় এখনই সমুদ্রবন্দর ছাড়া অন্য পথে সুতা আমদানিকে নিরুৎসাহিত করা উচিত।
এই প্রেক্ষাপটে এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান প্রজ্ঞাপন জারি করেন। তবে স্থলপথ ছাড়া সমুদ্রপথ বা অন্য কোনো পথে আগের মতোই সুতা আমদানি করা যাবে।
বস্ত্র খাত সংশ্লিষ্টদের দাবি, ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে উৎপাদিত সুতা কম দামে বাংলাদেশে প্রবেশ করছিল। এগুলো সাধারণত কলকাতায় গুদামজাত হয়ে পরে বাংলাদেশে পাঠানো হয়। স্থলবন্দর দিয়ে আসা এসব সুতার দাম চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে ঘোষিত দামের চেয়ে অনেক কম হওয়ায় দেশীয় সুতা উৎপাদকরা বড় ধরনের প্রতিযোগিতার মুখে পড়েন।
চীন, তুরস্ক, উজবেকিস্তানসহ অন্যান্য দেশ এবং বাংলাদেশে উৎপাদিত সুতার দাম প্রায় একই হলেও ভারতীয় সুতা তুলনামূলক অনেক সস্তা। ফলে দেশীয় টেক্সটাইল মিলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানান বিটিএমএ নেতারা।
এনবিআরের নতুন সিদ্ধান্তকে দেশের বস্ত্রশিল্পের স্বার্থরক্ষা ও স্থানীয় শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।
ইউ