ঢাকা,

১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪


প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর নির্বাচন: রিজওয়ানা

বিজনেস আই রিপোর্ট

প্রকাশিত হয়েছে: ১৯:৫১, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর নির্বাচন: রিজওয়ানা

ফাইল ছবি

প্রয়োজনীয় সংস্কারের পরে নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। রাজনৈতিক দলগুলোও এ বিষয়ে একমত বলেও জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভার পর ফরেন সার্ভিস অ্যকাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক হয়।

১১ সেপ্টেম্বর (বুধবার) জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ছিয়টি সংস্কার কমিশন গঠনের বিষয়ে ঘোষণা দেন। এই ছয়টি কমিশনের প্রধান হচ্ছেন- বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান, ইফতেখারুজ্জামান, আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী ও শাহদীন মালিক। কমিশনের অন্য সদস্যদের নাম কমিশন প্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করা হবে বলে জানিয়েছেন ড. ইউনূস।

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা এ নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন।

জবাবে উপদেষ্টা রিজওয়ানা বলেন, এই কমিশনগুলোর কার্যপরিধি এখনো ঠিক করা হয়নি। তারা প্রাথমিকভাবে কাজ শুরু করবে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এই কমিশনগুলোতে সাচিবিক সহায়তা দেবে। প্রধান উপদেষ্টার জাতিসংঘ সম্মেলন শেষে টার্ম অব কন্ডিশন ঠিক করা হবে। কমিশনগুলোর প্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করে অন্যান্য সদস্য ঠিক করা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা আশা করছি তিন মাসের মধ্যে কমিশনগুলো তাদের প্রতিবেদন দিতে পারবে।

এরশাদ সরকারের সময় এ ধরনের কমিশন করা হয়েছিল। কিন্তু ওই কমিশনের প্রতিবেদন আলোক মুখ দেখেনি। এবার কী সেটা হবে কী না– এমন প্রশ্নের জবাতে রিজওয়ানা বলেন, এরশাদ সাহেবের সময় আর এবারের বাস্তবতাটাও ভিন্ন, প্রেক্ষিতটাও ভিন্ন। কিন্তু এই প্রতিবেদন আদৌ বাস্তবায়িত হবে কি না সেটা নির্ভর করবে রাজনৈতিক ঐক্য এটার সপক্ষে আমরা কতটা গড়ে তুলতে পারি তার ওপর। এজন্য সংস্কারের বিষয়ে আমরা রাজনৈতিক দলগুলোরও মতামত চাচ্ছি। আর রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও নিশ্চয়ই এ উপলব্ধি আসছে।

তিনি বলেন, এরশাদ সরকার করে যেতে পারেনি, তার ফল কী হয়েছে এটা রাজনৈতিক দলগুলো দেখেছে। তারাও (রাজনৈতিক দল) কোনো সংস্কার করেনি। এর ফল কী হয়েছে সেটাও ৫ আগস্ট জাতি দেখেছে। কোনো রাজনৈতিক দল নিশ্চয়ই অজনপ্রিয় হয়ে আবার একই রকম ফলাফল দেখতে চাইবে না। এজন্য প্রথম থেকেই আমরা মতবিনিময়ে তাদের (রাজনৈতিক দল) অন্তর্ভূক্ত করেছি। এক পর্যায়ে আমরা সংলাপে যাবো। ওই সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক মতৈক্য গড়ে সংস্কার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকার ও কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংশোধনী এনে তারপরে আমরা নির্বাচনের কথা ভাবছি। রাজনৈতিক দলগুলো ইতোমধ্যে স্পষ্ট করেছে যে আগে সংস্কার ও পরে তারা নির্বাচনে যেতে যায়।

সংবাদ সম্মেলনে যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

ইউ

News