
ছবি: বিজনেস আই
পটুয়াখালী সদর উপজেলার পল্লী প্রগতি সমিতির উদ্যোগে বদলে যাচ্ছে এলাকার কৃষিচিত্র। আগে যেসব জমিতে কেবল আমন ধানের চাষ হতো এবং বছরের বাকি সময় পড়ে থাকত অনাবাদী, এখন সেসব জমিতে ফুটেছে সারি সারি হলুদ-সোনালি সূর্যমুখী ফুল। সূর্যমুখীর মায়াবী হাসিতে আলোকিত হয়েছে পুরো এলাকা।
এই চাষাবাদ শুরু হয় গত বছর পরীক্ষামূলকভাবে। তখন ১০০ জন শ্রমিক মাত্র ১৪ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেন। চলতি বছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩ হেক্টরে। প্রতি হেক্টর থেকে প্রায় ২ টন বীজ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে, যা থেকে মিলবে প্রায় ২৪,৫৭০ লিটার সূর্যমুখী তেল। প্রতি কেজি তেল ২৫০ টাকায় বিক্রি হলে বাজারমূল্য দাঁড়ায় প্রায় ৬১ লক্ষ ৪২ হাজার ৫০০ টাকা।
কৃষকরা জানিয়েছেন, বছরের পর বছর ধরে পড়ে থাকা জমিতে এখন সূর্যমুখী চাষ করে তারা ভালো ফলন পাচ্ছেন। এই ফসল বিক্রি করে তারা লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করার আশা করছেন। শুধু তাই নয়, আশপাশের কৃষকরাও এই চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
পল্লী প্রগতি সমিতির উপ-প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ এনায়েত মামুন বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এবছর সূর্যমুখী চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। আশা করছি, কৃষকরা নিজেদের চাহিদা পূরণ করে বাড়তি উৎপাদন বাজারে বিক্রি করে ভালো লাভ করতে পারবেন।’
পতিত জমিতে সূর্যমুখী চাষ শুধু কৃষকদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলছে না, বরং দেশের ভোজ্যতেল উৎপাদনেও রাখতে পারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। পটুয়াখালীর এই সফলতা হয়তো একদিন দেশের অন্যান্য কৃষকদেরও অনুপ্রেরণা জোগাবে।
ইউ