ঢাকা,

২১ ডিসেম্বর ২০২৪


নরসিংদীতে পাওয়ারলুম কারখানা মালিকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা, আটক ৪

বিজনেস আই রিপোর্ট

প্রকাশিত হয়েছে: ১৬:২৯, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

আপডেট: ১৮:৩০, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

নরসিংদীতে পাওয়ারলুম কারখানা মালিকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা, আটক ৪

ছবি: বিজসেন আই

নরসিংদীতে চাঁদা না দেওয়ায় এক পাওয়ারলুম কারখানা মালিকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেছে। হত্যার পর গুমের উদ্যেশ্যে লাশ ফেলতে গিয়ে জনতার হাতে আটক হয় অভিযুক্তরা। পরে তাদের পুলিশের হাতে শোপর্দ করা হয়।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে মরদেহ উদ্ধার করে অভিযুক্তদের পুলিশ হেফাজতে নেয়। নিহত নুর মোহাম্মদ (৪৮) সদর উপজেলার মাধবদী কাঠালিয়া ইউনিয়নের কোলাতপুর গ্রামের আলকাস মিয়ার ছেলে। সে  নূর মোহাম্মদ পাওয়ারলুম ও ট্রেক্সটাইল কারখানার মালিক ছিলেন।

অটকরা হলো- নরসিংদীর মাধবদী কাঠালিয়া গ্রামের রববানির ছেলে রবিন (২১) একই গ্রামের এবাদুলাল্লাহর ছেলে রুবেল (২২)। কাঠালিয়া ইউনিয়নের কোলাতপুর  গ্রামের অব্দুল আজিজ ছেলে আলামিন (৪২) আব্দুল রশিদ এর ছেলে রকিব হোসেন (২১) ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার মাধবদী কাঠালিয়া ইউনিয়নের কোলাতপুর গ্রামের আলকাস মিয়ার ছেলে নূর মোহাম্মদ নিজ নামিয় নূর মোহাম্মদ পাওয়ারলুম ও ট্রেক্সটাইল কারখানার পরিচালনা করে আসছিল। সম্প্রতি এলাকার রবিন (১৯) ,রকিব ,আলামিন ও রুবেল সহ বেশ কয়েকজন নুর মোহাম্মদের কাছে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে আসছেন। তবে চাঁদা দিতে অস্বীকার জানায়। সর্বশেষ ৫ লক্ষ টাকা দাবী করেন। এতেও মিল মালিক অস্বীকৃতি জানায়। এ নিয়ে তাদের সাথে কারখানা মালিকের দন্ধের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে ২০ ডিসেম্বর (শুক্রবার) দিবাগত রাতে নূর মোহাম্মদকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আসেন। পরে তাকে পাশের একটি বন্ধ কারখানায় নিয়ে যায়। সেখানে তাদের সাথে বাক বিতন্ডা হয়। এরই মধ্যে চাঁদা দাবী করা রুবেল,রকিব ,রবিন ও আলামিন ও অজ্ঞাত নামা আরো ১ জনসহ ৫ জন নূর মোহাম্মদকে  শ্বাসরোদ্ধ করে হত্যা করে। হত্যার পর লাশ গুমের উদ্যেশে ভোর রাতে লাশ বস্তাবন্ধি করে নারায়নগঞ্জের আড়াই হাজার সিমান্তে ফেলে দিতে যায়। লাশ ফেলার সময় স্থানীয় লোকজন দেখে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাদের আটক করে গনধোলাই দেয়। পরে স্থানীয়রা মাধবদী থানা পুলিশকে খবর দেয়। বেলা ১২টার দিকে পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সদর হাসপাতালে প্রেরন করে। এবং ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।

কাঠালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক মো. ইসাক মিয়া বলেন, পুলিশ যাদেরকে আটক করেছে,তারা এলাকার চিহ্নিত ডাকাত ও মাদক ব্যাবসায়ী। তাদের স্থানীয়রা আটকের পর চাঁদার কারনে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।

মাধবদী সদর মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো. নজরুল ইসলাম বলেন, পাওয়ালুম মালিক নুর মোহাম্মদকে হত্যার অভিযোগে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞেসাবাদ করা হচ্ছে। এর মধ্যে এক জন ৫লক্ষ টাকা চাঁদা দাবীর কথা জানিয়েছে। বাকিরা অন্য কথা বলছে। সবগুলো বিষয় তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

ইউ

News