ছবি সংগৃহীত
গাজীপুর মহানগরীর জিরানী এলাকায় বেতন বৃদ্ধির দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভের কারণে রবিবার (৫ জানুয়ারি) আশপাশের বেশ কয়েকটি কারখানায় কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আইরিশ ফ্যাশন লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা সকালে কর্মবিরতি দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। তাদের দাবি, সরকার ঘোষিত ৯ শতাংশ বাৎসরিক বেতন বাড়ানোর নীতিমালার আওতায় নতুন কর্মী, অর্থাৎ যাদের চাকরির মেয়াদ এক বছর পূর্ণ হয়নি, তাদেরও বেতন বাড়াতে হবে।
একজন শ্রমিক আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘আগের কর্মীরা শ্রমিক হলে আমরা যারা নতুন তারাও শ্রমিক। তাদের বেতন বাড়লে আমাদেরও সমান অধিকার থাকা উচিত।’ একই ধরনের দাবি জানিয়ে শ্রমিক নাজমুল করিম বলেন, ‘আমাদের দাবি আদায় না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
শ্রমিকদের বিক্ষোভ আশপাশের কারখানাগুলোতেও প্রভাব ফেলে। প্রতিবাদকারীরা অন্যান্য কারখানার সামনে অবস্থান নিয়ে কার্যক্রমে বাধা দিলে, বেশ কয়েকটি কারখানা ছুটি ঘোষণা করতে বাধ্য হয়।
গাজীপুর শিল্পাঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার আবু তালেব জানান, ‘শ্রমিকরা সকাল থেকে বিক্ষোভ করলেও কোনো ধরনের ভাঙচুর বা সহিংসতা ঘটেনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী, যেসব শ্রমিকের চাকরির মেয়াদ এক বছর পূর্ণ হয়নি, আওতাভুক্ত না হওয়ায় তাদের বেতন বাড়বে না। তবে শ্রমিকরা এই নীতিমালা পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে বলছেন, সব কর্মীর জন্য একই নীতি প্রয়োগ করা উচিত।
বিক্ষোভের জেরে কারখানার মালিকপক্ষ এবং শ্রমিকদের মধ্যে আলোচনার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। শিল্প পুলিশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তৎপর রয়েছে এবং উভয় পক্ষকে সমঝোতার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে।
বেতন বাড়ানোর দাবি শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের প্রশ্নে গুরুত্বপূর্ণ হলেও নীতিমালার সীমাবদ্ধতা এ ধরনের আন্দোলনের জন্ম দিচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে বিক্ষোভ আরও বিস্তৃত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ইউ