
ছবি সংগৃহীত
জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে ২৬ জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। এই ঘটনায় ভারতের পক্ষ থেকে সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করা হয়েছে। নয়াদিল্লি বলছে, পাকিস্তান পরোক্ষভাবে এই হামলার সঙ্গে যুক্ত। এ ঘটনার পর ভারতের পক্ষ থেকে একের পর এক কড়া সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু নদীর পানি চুক্তি স্থগিত করা হয়েছে, পাকিস্তানিদের জন্য বিশেষ ভিসা সুবিধা বাতিল করা হয়েছে এবং ভারতে অবস্থিত পাকিস্তানি দূতাবাসের সামরিক উপদেষ্টাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। এমনকি দুই দেশের প্রধান সীমান্ত ক্রসিংও বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। এই উত্তেজনার মধ্যেই ভারতীয় নৌবাহিনী মিসাইল ধ্বংসের একটি সফল পরীক্ষা চালিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) নৌবাহিনীর একটি পোস্টে জানানো হয় যে, আইএনএস সুরাত নামের একটি যুদ্ধজাহাজ থেকে সমুদ্রে দ্রুতগতির একটি মিসাইল সফলভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। এটি ছিল ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি একটি মিসাইল বিধ্বংসী সিস্টেম, যা সফলভাবে কাজ করেছে বলে দাবি করা হয়েছে।
এদিকে, পাকিস্তান ভারতের নেয়া সিদ্ধান্তগুলোকে গুরুত্বহীন এবং শিশুসুলভ বলে মন্তব্য করেছে। দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বলেছেন, ভারত সবসময়ই পাকিস্তানকে দোষারোপ করে এবং এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তিনি আরো জানান, পাকিস্তানে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির একটি জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে এবং সেই বৈঠকে ভারতের এসব পদক্ষেপের জবাব কীভাবে দেওয়া হবে তা ঠিক করা হবে।
পাকিস্তানের একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইসহাক দার বলেন, ভারতের অভিযোগের পেছনে যদি প্রকৃত প্রমাণ থাকে, তাহলে তা সামনে আনা উচিত। এদিকে পাকিস্তানের নৌবাহিনীও করাচি উপকূলে মিসাইল পরীক্ষা চালানোর পরিকল্পনা করছে বলে জানা গেছে, যা চলবে ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত।
এই পরিস্থিতিতে দুই দেশের সম্পর্ক আরও একবার চরম উত্তেজনার দিকে যাচ্ছে, যা দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তুলেছে।
ইউ