
উত্তর গাজার বেইত লাহিয়ায় ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় অন্তত নয়জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে তিনজন স্থানীয় সাংবাদিক রয়েছেন। ফিলিস্তিনি গণমাধ্যম জানিয়েছে, এই হামলায় আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন।
শনিবার (১৫ মার্চ) একটি ত্রাণ সহায়তা দলের ওপর হামলাটি চালানো হয়। ওই সময় সেখানে সাংবাদিক ও আলোকচিত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এই খবর জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি সাংবাদিক সুরক্ষা কেন্দ্র জানিয়েছে, ‘ইসরায়েলের গণহত্যার শিকার হওয়া মানুষের জন্য পরিচালিত মানবিক সহায়তা কার্যক্রম নথিভুক্ত করছিলেন ওই সাংবাদিকরা।’
গাজা যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতাকারীদের ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ওপর চাপ সৃষ্টির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সাংবাদিকরা; যাতে তিনি যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি বাস্তবায়নে এগিয়ে যান।
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপের আলোচনার বিষয়টি ইসরায়েল প্রত্যাখ্যান করেছে। হামাসের প্রধান দাবি, এই ধাপে যুদ্ধের স্থায়ী সমাপ্তি নিয়ে আলোচনা করতে হবে।
হামাস বেইত লাহিয়ার এই হামলাকে ‘ভয়াবহ গণহত্যা’ আখ্যা দিয়ে বলেছে, এটি আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধেরই ধারাবাহিকতা এবং এর আগ্রাসন চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আইন ও চুক্তিগুলোর প্রতি সম্পূর্ণ অবজ্ঞার প্রতিফলন।
এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, দুই সন্ত্রাসী একটি ড্রোন পরিচালনা করছিল, যা ইসরায়েলি সেনাদের জন্য হুমকি সৃষ্টি করেছিল।
তবে এই দাবির পক্ষে কোনও প্রমাণ ইসরায়েল উপস্থাপন করেনি।
বরং দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদক তারেক আবু আজজুম জানিয়েছেন, গাজার দক্ষিণ অংশে আমরা ইসরায়েলি ড্রোনগুলোকে আকাশে চক্কর দিতে দেখেছি। রাফাহ শহরেও প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে যে, গত ২৪ ঘণ্টায় তারা ইসরায়েলি হামলার শিকার হয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৪৮,৫৪৩ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১,১১,৯৮১ জন আহত হয়েছেন।
টিএইচ