ওয়াশিংটনের বিমান দুর্ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আগেই ফের বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। শুক্রবার দেশটির পেনসিলভেনিয়া অঙ্গরাজ্যের বৃহত্তম শহর ফিলাডেলফিয়ায় আছড়ে পড়েছে একটি যাত্রীবাহী ছোট বিমান।
বিমানটিতে ক্রুসহ মোট ৫ জন যাত্রী ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়। যাত্রীদের মধ্যে একজন শিশুও ছিল। তাদের কেউই বেঁচে নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ঘটনায় শোক জানিয়ে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন, “পেনসিলভেনিয়ার ফিলাডেলফিয়ায় ঘটা বিমান দুর্ঘটনায় আমি শোকাহত। কয়েকজন নিরীহ নিরপরাধ মানুষ হারিয়ে গেলেন। আমরা ইতোমধ্যে সেখানে সরকারি উদ্ধারকারী বাহিনীর লোকজন পাঠিয়েছি। ঘটনার পর প্রথম যারা এগিয়ে এসেছিলেন, তাদের প্রশংসা প্রাপ্য।”
গত ৩০ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে মার্কিন সামরিক বাহিনীর ব্ল্যাকহক হেলিকপ্টারের সঙ্গে মুখোমুখী সংঘর্ষের শিকার হয় নদীতে ডুবে যায় আমেরিকান এয়ারল্যাইন্সের একটি যাত্রীবাহী জেট। এ দুর্ঘটনায় ওই জেটের ৬৭ জন যাত্রীর সবাই নিহত হন।
ওই ঘটনার মাত্র দু’দিনের মধ্যে ফিলাডেলফিয়ায় ফের বিমান দুর্ঘটনা ঘটল। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে ফিলাডেলফিয়ার উত্তরপূর্ব এলাকায় রুজভেল্ট মলের কাছে আছড়ে পড়ে ছোট আকারের যাত্রীবাহী সেই বিমানটি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলের ফুটেজে দেখা গেছে, মাথা বা সম্মুখভাগ নিচু থাকা অবস্থায় পতন ঘটে বিমানটির এবং মাটিতে নামার পরেই তাতে বিস্ফোরণ ঘটে।
রুজভেল্ট মল সংলগ্ন যে এলাকায় বিমানটি পতিত হয়েছিল, সেখানে সে সেখানে ছিলেন অন্তত কয়েক শ’ মানুষ। বিমানটির পতন ও বিস্ফোরণের ফলে তাদের অনেকেই আহত হন। সেখানে পার্ক করে রাখা বেশ কয়েকটি গাড়ি এবং নিটকস্থ একটি বাড়িতেও আগুন ধরে যায়।
উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা আগুন নেভনোর কাজ শুরু করেন এবং তাদের দুই ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। ভূমিতে পতিত হওয়ার পর বিমানটিতে যে বিস্ফোরণ ঘটেছিল, তাতে অনেক আহতের পাশাপাশি কয়েকজন নিহত হয়েছেন বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন ফিলাডেলফিয়ার মেয়র শেরেলে পার্কার। সেখানে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এ দুর্ঘটনায় মোট কতজন নিহত এবং এহত হয়েছেন— তার সংখ্যা এখনও তার হাতে আসেনি।
ঠিক কী কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হলো— তাও স্পষ্টভাবে জানা জায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে বৃষ্টি ও কুয়াশাচ্ছন্ন মেঘলা আবহাওয়াই এ ঘটনার জন্য দায়ী।
সূত্র : রয়টার্স
টিএইচ