ছবি সংগৃহীত
বাশার আল-আসাদের পতনের পর বিদ্রোহীদের নিয়ে গঠিত হচ্ছে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকার। এর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন মোহাম্মেদ আল-বশির। তিনি সরকারবিরোধী আন্দোলন পরিচালনায় গঠিত বিদ্রোহীদের জাতীয় বিপ্লবী সরকারের ইদলিব অঞ্চলের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আসাদ সরকারের পতন হলেও শান্তি ফেরেনি সিরিয়ায়। এর পেছনে মূল কারণ দেশটির বিভিন্ন স্থানে ইসরাইলের শক্তিশালী হামলা।
ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনীর এক কর্মকর্তা জানান, সিরিয়ায় ইসরাইলের বিমানবাহিনীর ইতিহাসে অন্যতম বড় অভিযান চালানো হচ্ছে। সিরীয় সেনাবাহিনীর ডজনখানেক যুদ্ধবিমান, মিসাইল কারখানাসহ শত শত সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে নেতানিয়াহু বাহিনী। সামরিক স্থাপনা ছাড়াও বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণাগারেও হামলা চালিয়েছে তেল আবিব।
সিরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে নানা বিদ্রোহী সংগঠন। স্থানীয় সময় সোমবার, জাফরান গ্রামে মার্কিন সমর্থিত কুর্দি বিদ্রোহী গোষ্ঠী সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সের ওপর বন্দুক হামলা চালায় তুরস্ক-সমর্থিত ‘সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মি’। এতে বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছেন।
বাশার আল-আসাদ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সদস্যদের নিয়ে গঠিত সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন মোহাম্মেদ আল বশির। ৪১ বছর বয়সি মোহাম্মেদ আল-বশির সরকারবিরোধী আন্দোলন পরিচালনায় গঠিত বিদ্রোহীদের জাতীয় বিপ্লবী সরকারের ইদলিব অঞ্চলের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
আসাদ সরকারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ গাজী আল-জালালি ও মোহাম্মেদ আল-বশিরের সঙ্গে এইচটিএস প্রধান আল জোলানির বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানায় কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা। আর বৈঠকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী জালালি ক্ষমতা হস্তান্তরে রাজি হয়েছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে নতুন সিরিয়ায় ফিরতে শুরু করেছেন হাজারও বাস্তুচ্যুত সিরীয়। তবে এদের মধ্যে অনেকেই তাদের ফেলে যাওয়া বাড়িঘর অক্ষত অবস্থায় পাননি। এমন অবস্থায় সিরিয়ার দশক পুরানো মানবিক সংকট আরও প্রকট হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ইউ