সিরিয়ায় বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল–শাম (এইচটিএস) আজ বোরবার রাজধানী দামেস্ক দখলে নিয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দামেস্ক ছেড়ে পালিয়ে গেছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল–আসাদ। তবে তিনি কোথায় আশ্রয় নিয়েছেন, তা নিশ্চিত হতে পারেনি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো।
এই দিকে আসাদ সরকারে দীর্ঘ ২৪ বছরের স্বৈরশাসনের অবসানে সিরিয়াজুড়ে উল্লাসে মেতে উঠেছে সিরিয়ার মানুষ। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, ‘মুক্তি’ স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে উঠেছে দামেস্ক।
কিন্তু সিরিয়ার সাথে সীমান্ত না থাকলেও এবং সিরিয়া থেকে অনেক দূরের দেশ হওয়া সত্ত্বেও আফগানিস্তানে দেখা গেছে আনন্দ উল্লাস। আফগানবাসীরা আসাদ সরকারের পতনের পর উল্লাস করছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, সিরিয়ায় আসাদ সরকারের পতনের পর এখনো আনুষ্ঠানিক কোনও বিবৃতি দেয়নি আফগানিস্তানের তালেবান সরকার। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তালেবানদের উচ্ছ্বসিত পোস্ট দেখা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তালেবানের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেছেন, ‘সিরিয়ার বিদ্রোহী বাহিনীর প্রতি তালেবানদের সহানুভূতি ও সমর্থন রয়েছে। কারণ তারা সুন্নী অনুসারী ও জিহাদী। তাদের সঙ্গে আমাদের সংযোগটা আদর্শগত। আমরা বিশ্বাস করি, সিরিয়ার বিদ্রোহীরা আমাদের মতোই সেখানে ‘শরিয়া সরকার’’ প্রতিষ্ঠা করবে।’
তবে বাশার আল–আসাদ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর সিরিয়ার প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-জালালি বলেছেন, জনগণের দ্বারা নির্বাচিত যেকোনো নেতৃত্বকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, তার বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নেই। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সচল রাখতে কাজ করবেন। এদিকে বিদ্রোহী দলের প্রধান জানিয়েছেন, আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর না হওয়া পর্যন্ত সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো প্রধানমন্ত্রীর অধীনে থাকবে।
গত ২৬ নভেম্বর নতুন করে আসাদ বাহিনীর ওপর হামলা চালাতে শুরু করে বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল–শাম। প্রথমে আলেপ্পো শহর দখলের পর দ্রুত রাজধানী দামেস্কের দিকে এগোতে থাকে তারা। এরপর মাত্র ১১ দিনের মাথায় আজ রোববার দামেস্ক ‘মুক্ত’ করার ঘোষণা দিল বিদ্রোহীরা। এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে কার্যত সিরিয়ায় দীর্ঘ ৫৪ বছরের স্বৈরশাসনের অবসান ঘটল।
টিএইচ