ছবি সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর ও ‘ডিপ স্টেটের’ বিভিন্ন শক্তি ভারতকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। দলটি বলেছে, একদল অনুসন্ধানী সাংবাদিক এবং বিরোধী দল কংগ্রেসেরনেতা রাহুল গান্ধী এই তৎপরতায় যোগ দিয়েছে। রয়টার্স
প্রতিবেদন মতে, গত দুই দশক ধরে ওয়াশিংটন ও নয়াদিল্লি বেশ জোরালো সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে। কিছু মতানৈক্য ও উত্তেজনা থাকা সত্ত্বেও উভয় পক্ষ এই সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। কিন্তু হঠাৎ এমন অভিযোগ বিস্ময়কর।
গত বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) ক্ষমতাসীন বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়, আদানি শিল্পগোষ্ঠী এবং তাদের সঙ্গে বিজেপি সরকারের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্টের (ওসিসিআরপি) একটি প্রতিবেদন নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস দল।
ওসিসিআরপির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার ঘুষ-কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে আদানি শিল্পগোষ্ঠীর প্রধান গৌতম আদানিসহ আটজনকে অভিযুক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের আদালত। এমনকি আদানির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করা হয়েছে। যদিও এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে অভিহিত করেছে আদানি।
এছাড়া ওসিসিআরপির আরও বলা হয়, ভারতের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত হ্যাকাররা ইসরাইলি পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে সরকারবিরোধী সমালোচকদের টার্গেট করেছে। এই অভিযোগও আগেই অস্বীকার করেছে মোদি সরকার।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে করা ধারাবাহিক পোস্টে বিজেপি বলেছে, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে লক্ষ্যবস্তু করার মাধ্যমে ভারতকে অস্থিতিশীল করার স্পষ্ট লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলেছে ডিপ স্টেট।’ এই এজেন্ডার পেছনে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর। এই এজেন্ডা পূরণে ওসিসিআরপি মাধ্যম হিসেবে কাজ করেছে।
‘ডিপ স্টেট’ বলতে কোনো দেশের সরকারের ওপর গোপনে নিয়ন্ত্রণ করা সরকারি বা সামরিক কর্মকর্তাদের সংঘকে বোঝানো হয়ে থাকে। বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্র গত বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ফ্রান্সের একটি অনুসন্ধানী গণমাধ্যম গোষ্ঠী জানিয়েছে, ওসিসিআরপির ৫০ শতাংশ অর্থায়ন সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর থেকে আসে।
এ অভিযোগের বিষয়ে এক বিবৃতিতে ওসিসিআরপি বলেছে, তারা স্বাধীন গণমাধ্যম। কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা নেই তাদের। যুক্তরাষ্ট্র সরকার ওসিসিআরপিতে কিছু অর্থায়ন করে থাকে। তবে গণমাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতি ও প্রতিবেদনের ওপর তাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।
এ বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ইউএসএইড ও কংগ্রেস তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। বিজেপির অভিযোগ নিয়ে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
ইউ