ঢাকা,

০৪ ডিসেম্বর ২০২৪


মসজিদে সমীক্ষার জেরে সংঘাত, ভারতের সাম্ভালে বন্ধ ইন্টারনেট

বিজনেস আই রিপোর্ট

প্রকাশিত হয়েছে: ২৩:১১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

মসজিদে সমীক্ষার জেরে সংঘাত, ভারতের সাম্ভালে বন্ধ ইন্টারনেট

ভারতের উত্তর প্রদেশের সাম্ভাল নামক এলাকায় শাহি জামে মসজিদে সমীক্ষা করার সময় সংঘাতে ৩ জন নিহত হয়েছেন।

আজ রোববার একটি সরকারি প্রতিনিধি দল সমীক্ষা করতে যাওয়ার পর শুরু হওয়া এই সংঘাতে এলাকার পরিস্থিতি থমথমে। এরই মধ্যে সাম্ভালে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে জানায়, সাম্ভালে অবস্থিত শাহি জামে মসজিদ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একটি অংশের দাবি, এখানে আগে মন্দির ছিল। সেটি ভেঙে মসজিদ বানিয়েছিল মুঘলেরা। এই নিয়ে এক আবেদনের প্রেক্ষিতে সমীক্ষার আদেশ দেন আদালত। 

সেই আদেশ নিয়েই আজ রোববার সমীক্ষা করতে গিয়েছিল একটি সরকারি প্রতিনিধি দল। আদালতের নির্দেশে এই সমীক্ষা শুরু হলেও স্থানীয়দের একাংশ এই পদক্ষেপের প্রতিবাদ জানায়। ওই সময় পুলিশ এসে তাদের থামাতে চাইলে সংঘর্ষ বাধে। কয়েক শ মানুষ পুলিশের ওপর হামলা করে বলে দাবি করেছে প্রশাসন। 

পুলিশের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়া টুডে বলছে, শাহি জামে মসজিদে সমীক্ষার জন্য দলটি এলে স্থানীয় কয়েক শ মানুষ তাদের বাধা দেয়। এতে তাদের সঙ্গে সংঘাত শুরু হয়। পরিস্থিতি সহিংস হওয়ার আগেই সেখানে উপস্থিত হয় পুলিশ। কিন্তু জনতা পুলিশ ও প্রতিনিধি দলের দিকে পাথর ছুঁড়তে থাকে। পরে পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করলে জনতা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

৩ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে পুলিশ।

জানা যায়, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রথমে আলোচনার চেষ্টা করে। কিন্তু পাথর ছোঁড়াতে শুরু করলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানোর মতো পদক্ষেপ নিতে হয়। 

এর আগে স্থানীয় এক ব্যক্তি আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন, শাহী জামে মসজিদের জায়গাটিতে আগে একটি মন্দির ছিল। এই অভিযোগের ভিত্তিতে আদালত সমীক্ষার নির্দেশ দেন। তবে স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্যরা এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন এবং সমীক্ষার বিরোধিতা করেছেন।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা অভিযোগ করেন, এই সমীক্ষা তাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে এবং এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘আমাদের ধর্মীয় স্থানের সম্মান রক্ষা করাই আমাদের লক্ষ্য। এটি আমাদের আত্মসম্মানের প্রশ্ন।’

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সমীক্ষা চালানো হচ্ছে এবং এর সঙ্গে কোনো পক্ষপাতিত্ব নেই। প্রশাসনের তরফে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানানো হয়েছে। তবে পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত রয়েছে এবং এলাকাজুড়ে পুলিশি প্রহরা জারি করা হয়েছে।

টিএইচ

News