ঢাকা,

২৩ নভেম্বর ২০২৪


হিজবুল্লাহ প্রধান নাসরুল্লাহকে হত্যার দাবি ইসরাইলের

বিজনেস আই ডেস্ক

প্রকাশিত হয়েছে: ১৭:৫৯, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

হিজবুল্লাহ প্রধান নাসরুল্লাহকে হত্যার দাবি ইসরাইলের

ছবি সংগৃহীত

লেবাননের রাজধানী বৈরুতে শুক্রবারের বিমান হামলায় হিজবুল্লাহ প্রধান সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। তবে এ দাবির পক্ষে সুস্পষ্ট কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি তেল আবিব।  

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সামাজিক মাধ্যম এক্সে ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে এ দাবি করা হয়। এতে বলা হয়, হাসান নাসরুল্লাহ আর বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ পরিচালনা করতে পারবেন না।

এ নিয়ে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি হিজবুল্লাহ। তবে সংগঠটির একাধিক সূত্রের বরাতে তেহরানভিত্তিক প্রেসটিভি জানিয়েছে, সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ নিরাপদ অবস্থানে রয়েছেন এবং বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলীতে সাম্প্রতিক ইসরাইলি বিমান হামলায় তার কোনো ক্ষতি হয়নি।

এর আগে ইসরাইলি গণমাধ্যমগুলো শুক্রবার রাতে দাবি করে, দক্ষিণ বৈরুতের দাহিয়ে এলাকায় ইসরাইল যে বর্বর বিমান হামলা চালিয়েছে তার প্রধান লক্ষ্য ছিলেন হিজবুল্লাহ প্রধান নাসরুল্লাহ। 

ইসরাইলের নিরাপত্তা বাহিনী আইডিএফ বলছে, তাদের হামলায় শুধু হিজবুল্লাহ প্রধানই নন বরং ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীটির দক্ষিণ ফ্রন্টের কমান্ডারসহ অন্যান্য সিনিয়র নেতাও নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কয়েকশ লেবানিজ।   

ইসরাইলি সামরিক রেডিওর খবরে বলা হয়েছে, এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে এসব হামলা চালানো হয় এবং এতে পাঁচ হাজার পাউন্ডের বাঙ্কার-বাস্টার বোমা ব্যবহার করা হয়।

দখলদারদের এসব দাবি নাকচ করে দিয়ে নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাতে ইরানের তাসনিম বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, হিজবুল্লাহ প্রধান সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ ও সংগঠনটির নির্বাহী পরিষদের প্রধান সাইয়্যেদ হাশেম সাফিউদ্দিন নিরাপদে রয়েছেন। দখলদার সেনাদের সবশেষ সন্ত্রাসী হামলায় কোনো হিজবুল্লাহ কমান্ডার নিহত হননি।

এদিকে লেবাননের বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে টানা এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে সন্ত্রাসী হামলা অব্যাহত রেখেছে দখলদার ইসরাইল। সবশেষ শুক্রবার বিকেলে ইসরাইলি হামলায় বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলীর অন্তত ছয়টি ভবন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এসব হামলায় বেশ কয়েকজন বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছেন।  

গেলো বছরের অক্টোবর মাসের ৭ তারিখে ইসরাইলে এই দশকের সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান চালায় গাজার হামাস সরকার। এর পরপরই গাজায় বিমান হামলা ও স্থল হামলা শুরু করে ইসরাইল। এ আগ্রাসনে ৪১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন এক লাখের বেশি মানুষ।

চলমান এ গণহত্যার প্রতিবাদে ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ। এর জেরেই লেবাননের বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে টানা এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে আসছে ইসরাইল। এসব হামলায় নিহতের সংখ্যা ৭০০ ছাড়িয়েছে।  

ইউ

News