ফাইল ছবি
হত্যাচেষ্টা মামলায় অভিনেত্রী শমী কায়সারকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় রাষ্ট্রপক্ষ এই আবেদন জমা দেয়।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার, বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ শমী কায়সারকে তিন মাসের জামিন মঞ্জুর করেন।
গত ৫ নভেম্বর রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে শমী কায়সারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ব্যবসায়ী ইশতিয়াক মাহমুদকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। রিমান্ড শেষে তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়। তিনি তখন থেকে কারাগারে রয়েছেন।
মামলার সূত্র অনুযায়ী, গত ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের সময় উত্তরা পূর্ব থানাধীন চার নম্বর সেক্টরের আজমপুর নওয়াব হাবিবুল্লাহ হাইস্কুলের সামনে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের কর্মীরা হামলা চালিয়ে গুলিবর্ষণ করে। এতে ইশতিয়াক মাহমুদের পেটে গুলি লাগে এবং তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে গত ২৯ অক্টোবর ইশতিয়াক মাহমুদ বাদী হয়ে পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ১২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় থেকেই শমী কায়সার নানা বিতর্কের মুখোমুখি হন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে ১৪ অক্টোবর মাগুরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তার বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করা হয়। এছাড়া গত ৯ অক্টোবর শমী কায়সার ও তারানা হালিমসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের হয়।
শমী কায়সার শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লা কায়সার ও লেখক পান্না কায়সারের কন্যা। নব্বইয়ের দশকে তিনি জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন এবং পরবর্তীতে প্রযোজনায় যুক্ত হন।
আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকাকালীন তিনি ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তিনি ই-ক্যাব সভাপতির পদ ত্যাগ করেন।
তিনি আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ছিলেন এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-৩ আসনের মনোনয়ন চাইলেও তা পাননি।
ইউ