ফাইল ছবি
মাস কয়েক আগেই বর্ণময় ক্যারিয়ারের ষাট বছরে পদার্পণ করেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে বিশ্বব্যাপী দুহাতে কুড়িয়েছেন ভালোবাসা।
আজ কিংবদন্তি এই গায়িকার ৭২তম জন্মদিন। ঘড়ির কাটা বারোটা বাজার আগে থেকেই সহকর্মী ও ভক্ত অনুরাগীদের কাছ থেকে শুভেচ্ছা ও ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন তিনি।
তিনি বলেন, এক জীবনে দেশ–বিদেশের শ্রোতাদের ভালোবাসা, শ্রদ্ধা এত এত পেয়েছি, শুকরিয়া আদায় করেও শেষ করতে পারব না। এখনো পাচ্ছি। ৬০ বছর ধরে পেয়ে চলেছি। শ্রোতাদের বাইরে আমার অঙ্গনের অগ্রজ, অনুজ এবং সমসাময়িক সবার স্নেহ, সম্মান, ভালোবাসা তো অতুলনীয়।
এদিকে জানালেন জন্মদিনে বিশেষ চমক নিয়ে আসছেন তিনি। তবে এখনই তা জানাতে চাইছেন না। রুনা লায়লা বললেন, বললে তো সব বলাই হয়ে যাবে, চমক তো আর থাকবে না। আজ বড় চমক নিয়ে আসছি। তাই চাইছি সারপ্রাইজটা আপাতত জমা থাকুক। একটার মধ্যে কিন্তু একাধিক সারপ্রাইজ থাকবে।
১৯৬৪ সালের ২৪ জুন ‘জুগনু’ সিনেমার ‘গুড়িয়া সি মুন্নি মেরি ভাইয়া কি পেয়ারি’ গান গেয়ে ক্যারিয়ারের যাত্রা শুরু করেন। এই সিনেমায় রুনা লায়লার বড় বোন দীনা লায়লাও প্লে-ব্যাক করেছিলেন। সিনেমাটি মুক্তি পায় ১৯৬৮ সালের ২৯ মার্চ।
এরপর পাকিস্তানের আরও বহু সিনেমায় রুনা লায়লা প্লে-ব্যাক করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের আগেই রুনা লায়লা প্রথম বাংলাদেশের সিনেমায় প্লে-ব্যাক করেন প্রজন্মের পর প্রজন্মের কাছে তুমুল জনপ্রিয় গান ‘গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখে’ গানটি। ১৯৭০ সালের ২৯ মে মুক্তিপ্রাপ্ত নজরুল ইসলাম পরিচালিত সিনেমা ‘স্বরলিপি’ সিনেমার এই গান লিখেছিলেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার, সুর করেছিলেন সুবল দাস। ঠোঁট মিলিয়েছিলেন চিত্রনায়িকা ববিতা। প্রথম প্লে-ব্যাকেই ব্যাপক সাড়া ফেলেন রুনা লায়লা। বাংলাদেশের সিনেমার গানেও তার কণ্ঠের কদর বেড়ে যায়।
রুনা লায়লা বাংলাসহ হিন্দি, উর্দু, গুজরাটি, পাঞ্জাবি, সিন্ধি, পশতু, আরবি, পারসিয়ান, মালয়, নেপালি, জাপানি, ইতালীয়, স্প্যানিশ, ফরাসি, ইংরেজিসহ বিভিন্ন ভাষায় অর্থাৎ ১৮টি ভাষায় গান গেয়েছেন। রুনা লায়লা গানে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে তিনশোরও বেশি সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।
ইউ